যারা মানবাধিকারের শিক্ষা দেয়, তারাই ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালাচ্ছে, " শাইখ আহমাদুল্লাহ
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক আল সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাইখ আহমদুল্লাহ বলেন , বিচারহীনতার সব থেকে বড় উদাহরণ, আমরা ফিলিস্তিনের দিকে তাকালে দেকতে পাই। সেখানে যে রকম গণহত্যা চালানো হচ্ছে, শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, এবং সেই সব দেশ করছে যারা মানবাধিকার শিক্ষা দেয়। তারাই এই বর্বরতা সমর্থন করছে এটি গভীর চিন্তার বিষয়। বিশ্ব মোড়লরা একদিকে মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠার বুলি আওড়াচ্ছে অন্যদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখতে পাচ্ছি। রাসুল (সা.) নিজের সন্তানের জন্য পোশাক কিনলে, তাঁর কর্মচারীর সন্তানের জন্যও একই পোশাক নিশ্চিত করতেন। তিনি সমাজে বৈষম্য দূর করতে ছোট থেকে বড় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আমাদেরও তাঁকে অনুসরণ করতে  হয় 



বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ


বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুন্নাতে রাসুল্লাহ (সা:)’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।


তিনি বলেন, মহানবী (সা.) যে জীবনাদর্শ রেখে গেছেন তা অনুসরণ করে পৃথিবীর সকল রাজনৈতিক সংকট কাটানো সম্ভব। তিনি প্রতিটি কাজ করেছেন এবং বিশ্ববাসীকে করার জন্য বলেছেন। সংখ্যালঘু সম্প্রীতির যে কথা বলা হয় তা শুধু ইসলামের আলোকে যথার্থভাবে বাস্তবায়ন 



তিনি আরও বলেন, আজকের সভ্য পৃথিবীতে নারীর অধিকারের কথা বলা হচ্ছে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) শুধু নারী অধিকারের কথা বলেননি, অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। যুদ্ধের নামে পৃথিবীতে গণহত্যা করা হচ্ছে। এটা দেখেও যারা নিরব থাকে এবং অনেকাংশে সমর্থন করে তারাই এখন অধিকারের কথা বল


শাইখ আহমাদুল্লাহ বলেন, পরিবেশকে দূষিত করে আবার প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। বৈশ্বিক এই সংকট মোকাবেলা করতে হলে ফিরে যেতে হবে নবীর সিরাতে।




ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “মুহাম্মদ (সা:) ছিলেন সারা বিশ্বের মানবজাতির মুক্তির পথপ্রদর্শক। তিনি কেবল ধর্মীয় নেতাই ছিলেন না, বরং মানবিক মূল্যবোধ, ন্যায়বিচার ও সহমর্মিতার চেতনাকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। 


অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, “মহানবী (সা:) এর জীবনভিত্তিক আলোচনাকে আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে মানুষকে মহানবীর দর্শনের আলোকে গড়ে তোলা। কারন, তাঁর জীবন ও শিক্ষা আজও আমাদের জন্য আলোকবর্তিকা, যা অনুসরণ করলে আমরা সমাজে সমতা, শান্তি ও মানবাধিকারের বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।”



অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্বতন্ত্র গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যেখানে মহানবী (সা:) এর জীবন, আদর্শ ও কর্ম নিয়ে বিশেষভাবে গবেষণা করা হবে। সেই গবেষণার ফলাফলকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া হবে, যাতে মহানবীর শিক্ষা ও নীতিমালা আরও বিস্তৃতভাবে পৌঁছে যায়। তিনি জোর দেন পৃথিবীর আনাচ-কানাচ খুঁজে বেড়ানোর প্রয়োজন নেই। আমাদের মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।




আলোচনা সভায় ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফির সভাপতিত্বে অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম,  অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ সহস্রাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।