
আজ শনিবার,১২ই রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। মুসলিম উম্মাহর কাছে এ দিনটি শুধু আনন্দ নয়, বরং শোক ও আত্মসমালোচনারও দিন। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়ালে মক্কার সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে জন্ম নেন মানবতার ত্রাণকর্তা, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আর ৬৩ বছর পর এই একই দিনে তিনি পরলোক গমন করেন।
তাঁর আবির্ভাবের আগে গোটা আরব নিমজ্জিত ছিল অন্ধকারে। আইয়ামে জাহেলিয়াত নামে পরিচিত সেই যুগে চলত মূর্তিপূজা, হানাহানি আর বিশৃঙ্খলা। এই অবস্থায় মানবজাতিকে সত্য ও আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে প্রেরন করেন তাঁর প্রিয় বান্দা, সর্বশেষ নবী রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা) কে ।
নবী (সা.)-এর জীবনী আমাদের জন্য এক অনন্য দিশারী। সততা, দয়া, ন্যায় ও ভ্রাতৃত্ব—এ সবকিছুই তিনি রেখে গেছেন মানবতার শিক্ষায়। তিনি বলেছেন“যে আমার সুন্নতকে জীবিত করে, সেই-ই আমাকে ভালোবাসে। আর যে আমাকে ভালোবাসে, সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে।” (তিরমিজি ২৬৭৮)
কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজ এ দিনটিকে ঘিরে আমাদের সমাজে অনেক বিদআত কাজ প্রচলিত রয়েছে, যা সাহাবাদের যুগে ছিল না। ইসলাম ধর্মে বিদআত বর্জনের নির্দেশনা স্পষ্ট। তাই এই মাহে রবিউল আউয়ালের বার্তা হোক, বিদআত থেকে বাঁচা, সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং নবীর ভালোবাসাকে জীবনে বাস্তবায়ন করা।
চলুন, আজকের এই পবিত্র দিনে বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করি, নবীর আদর্শে ফিরে যাই, এবং আমাদের জীবনকে আলোকিত করি তার শিক্ষা দিয়ে।