যে কারণে মর্যাদার দিক থেকে শ্রেষ্ঠ জুমার দিন
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিমের কাছে জুমার দিন হলো বরকত, রহমত ও মর্যাদার প্রতীক। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে সপ্তাহের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনেই সৃষ্টি হয়েছেন হযরত আদম (আঃ), এই দিনেই তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেছিলেন, এবং এই দিনেই সংঘটিত হবে কিয়ামত।


প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর হাদিসে জুমার গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন বিশেষভাবে। সহিহ বুখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিত, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবিজী ইরশাদ করেছেন, “দুনিয়াতে আমরা আগের জাতিদের পরে এসেছি, কিন্তু কেয়ামতের দিন আমরা হবো সবার আগে। ইয়াহুদি ও নাসারাদের আগে আল্লাহ তাআলাআমাদেরকে সম্মান দান করবেন।"


নবিজী ব্যাখ্যা করেন, আগের জাতিগুলোকে (ইহুদি ও খ্রিষ্টান) জুমার দিনের ইবাদতের নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা মতভেদ করে অন্য দিন বেছে নেয়—ইহুদিরা বেছে নেয় শনিবার, নাসারারা রবিবার। অথচ আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদিকে এই মর্যাদাপূর্ণ দিনটি গ্রহণের তাওফিক দিয়েছেন।


তাই দুনিয়াতে আগমনের ক্রমানুসারে মুসলিম জাতি সর্বশেষ হলেও, পরকালে মর্যাদা ও সম্মানের দিক থেকে হবে সবার আগে।


পবিত্র কোরআনের সুরা জুমায় মহান আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, “হে মুমিনগণ! যখন জুমার নামাজের আহ্বান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানো।” (সুরা জুমা, আয়াত ৯)


জুমা শুধু সাপ্তাহিক নামাজ নয়, বরং এটি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, ইমান ও মর্যাদার প্রতীক। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই দিনকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া, নামাজ, দোয়া ও ইবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখা।

আল্লাহ তাআলা যেন উম্মতে মুহাম্মাদিকে জুমার দিনের বরকত, ফজিলত এবং মর্যাদা অর্জনের তাওফিক দান করেন। আমিন।