জুলাই গণহত্যার রায়কে স্বাগত, প্রগতিশীল শিক্ষকদের বিবৃতির নিন্দা চবি সাদা দলের
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
চব্বিশের জুলাইয়ে সংঘটিত গণহত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক সমাজের সাদা দল।


সোমবার সাদা দলের আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোছাইন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ অবস্থান জানানো হয়।


বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় ১,৪০০ নিরস্ত্র মানুষের প্রাণহানি এবং ২৫,০০০ এর বেশি মানুষের আহত হওয়ার যে ভয়াবহতা জুলাই ২০২৪-এ দেখা গিয়েছিল, সেই ঘটনার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ন্যায়বিচারের প্রথম ধাপ এই রায়। তাদের দাবি, নিরস্ত্র শিক্ষার্থী, তরুণ ও সাধারণ মানুষের ওপর পরিচালিত সেই হত্যাকাণ্ড ছিল সুস্পষ্ট গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ, যার প্রমাণ ইতোমধ্যে আদালতে উপস্থাপিত ও প্রমাণিত হয়েছে।


এদিকে রায়ের বিরোধিতায় ‘প্রগতিশীল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের’ নামে কিছু অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতির নিন্দা জানিয়েছে সাদা দল। তাদের ভাষ্য, সেই বিবৃতি শহীদদের প্রতি অবমাননাকর, শহীদ পরিবারের যন্ত্রণাকে উপহাস করে এবং বিচারব্যবস্থাকে অসম্মানিত করে। দলটি মনে করে, বিবৃতিটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং শিক্ষকতার মতো মর্যাদাপূর্ণ পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তরুণ সমাজের কাছে এটি ‘বিভ্রান্তিকর ও বিপজ্জনক’ বলেও উল্লেখ করা হয়।


সাদা দল আরও দুটি দাবি উত্থাপন করে, রায়ের বিরোধিতামূলক বিবৃতিতে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষরকারী চবি শিক্ষকদের শনাক্তে অবিলম্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন।অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।


এ ছাড়া কোনো শিক্ষক দাবি করলে যে তার নাম অনুমতি ছাড়াই যুক্ত হয়েছে, তবে তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানায় সাদা দল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যাখ্যা না দিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে স্বেচ্ছাস্বাক্ষরকারী হিসেবেই বিবেচনা করা হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।