আসাদুজ্জামান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায়
ছবিঃ সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুন্যাল-১ সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে এই রায় দেওয়া হয়।  


রায় ঘোষণা করেন বিচারক মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। অন্যান্য সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়া শুরু হয় দুপুর ১২:৩৪ মিনিটে এবং আড়াইটারও বেশি সময় ধরে চলে।


এই মামলায় এটি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সরকারের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ভুক্ত হয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার প্রমাণাদি উপস্থাপন করেছে, যার মধ্যে তথ্যসূত্র, জব্দ তালিকা ও শহীদদের তালিকা অন্তর্ভুক্ত।


বর্তমানে শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান ভারতের আশ্রয় নিয়েছেন। মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রায় প্রমাণিত সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।


রায়ের প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। রাজধানীসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ, গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী সীমান্ত ও শহরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।


প্রসিকিউশনের অভিযোগ, ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে আন্দোলন চলাকালে হাসিনা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক এবং পদ্ধতিগত দমন-পীড়ন চালানোর সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন। এতে দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং ২৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।