কোথায় বা কখন আটকানো হতে পারে, তা আগেভাগে বলা কঠিনঃ শহিদুল আলম
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম আজ রোববার (৫ অক্টোবর) গাজা পৌঁছানোর কথা থাকলেও আরও কিছুটা দেরি হতে পারে বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, নৌকাগুলোর কাছাকাছি থাকতে গতিপথ ধীরে নেওয়ায় সময় বাড়ছে, তবে বিপদের এলাকা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।


শহিদুল আলম ফেসবুকে পোস্টে লিখেছেন, “শান্ত সমুদ্র আর দারুণ রোদ। গতরাতটা খোলা ডেকে ঘুমিয়েছি আমি। আজ আমাদের গাজায় পৌঁছানোর কথা ছিল, কিন্তু ছোট নৌকাগুলোর কাছাকাছি থাকতে গতি কমিয়ে দেওয়ায় এখন আরও দেরি হবে। তবে বিপদের এলাকা তার অনেক আগেই শুরু হয়, আর কোথায় বা কখন আমাদের আটকানো হতে পারে, তা আগেভাগে বলা কঠিন।”


শহিদুল আলম কনশানস নৌযানে অবস্থান করছেন। কনশানস হলো আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (FFC) এবং থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (TMTG) নৌবহরের একটি জাহাজ। এফএফসি গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে ও ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য গ্লোবাল ফ্লোটিলার প্রচেষ্টার অংশ। তবে এই বহরে কোনো খাদ্যসামগ্রী নেই।


শহিদুল আলম জানান, কনশানস হচ্ছে বহরের সবচেয়ে বড় নৌযান, যা ৩০ সেপ্টেম্বর ইতালি থেকে শেষ রওনা হয়েছিল। এর আগে আটটি নৌযান রওনা হয়, আর আরও দুটি নৌকার অবস্থান এখনো নিশ্চিত নয়। কনশানস শেষ রওনা হলেও এর গতি বেশি হওয়ায় এটি আগে রওনা হওয়া নৌকাগুলোকে ছুঁয়ে ফেলেছে।


উল্লেখযোগ্য যে, দুই বছর ধরে ইসরায়েল বিদেশি সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে। একই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করে আসছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ২৭০ জনের বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, এবং অনেকে আটক বা কারাগারে বন্দী আছেন।