রাজধানীতে সাত দলের সমন্বিত বিক্ষোভ আজ
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

রাজধানী ঢাকায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি রাজনৈতিক দল। তাদের মূল দাবি জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি চালু এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।


দলগুলো আজ ঢাকায় বিক্ষোভের মাধ্যমে তিন দিনের কর্মসূচি শুরু করবে। আগামীকাল শুক্রবার বিভাগীয় শহরে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে। যদিও কারও দাবি ৫ দফা, কারও ৬ বা ৭ দফা, তবে সবার মূল দাবি প্রায় অভিন্ন।


তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে— জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও তার ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চালু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, পূর্ববর্তী সরকারের জুলুম-গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।


বিকেল সাড়ে চারটায় জামায়াতঃ  বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকে জামায়াতে ইসলামী সমাবেশ করবে। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পুরানা পল্টন, জাতীয় প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে। সমাবেশে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেব


জোহর নামাজের পর ইসলামী আন্দোলনঃ বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর প্রাঙ্গণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিক্ষোভ করবে। মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। আসর নামাজের পর মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বিক্ষোভ করবে। বিকেল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খেলাফত মজলিসের আরেকটি সমাবেশ হবে। একই সময়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনও বিক্ষোভ করবে। বিকেল চারটায় একই স্থানে নেজামে ইসলাম পার্টি কর্মসূচি পালন করবে।


বিকেল সাড়ে চারটায় জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টিঃ জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।

রাজধানীর কেন্দ্রীয় এলাকায় একই সময়ে সাতটি দলের বিক্ষোভ হওয়ায় সড়কে যানজট সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে নগরবাসী দুর্ভোগে পড়তে পারেন। তবে আজ ও আগামীকাল সকালে বিসিএস পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য এই দলগুলো বিকেলে কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।