রোগ প্রতিরোধ থেকে হৃদ্‌রোগ নিয়ন্ত্রণে,কতবেল
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

কতবেল ভিটামিন সি-এর একটি চমৎকার উৎস। এছাড়াও এতে কিছুটা ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ফোলেট, ক্যালসিয়াম এবং বিভিন্ন খনিজ উপাদান রয়েছে। এতে থাকা আঁশ দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং হজমে সহায়ক।


কতবেল সাধারণত লবণ ও মরিচ দিয়ে মাখিয়ে খাওয়া হয়। কেউ আচার বা জেলিও তৈরি করেন। আবার বৈচিত্র্যের জন্য কেউ কেউ কতবেলের জুস, জেলি বা আলুর দমের মতো পদেও এটি ব্যবহার করে থাকেন। তবে আচার, জেলি বা রান্নার সময় তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায় এবং ভিটামিন বি-এর বেশির ভাগটাই হারিয়ে যায়। ফলে এইভাবে খেলে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থেকে বঞ্চিত হতে হয়। চিনি দেওয়া পদ রক্তের গ্লুকোজ দ্রুত বাড়িয়ে দেয়, যা শরীরে সহজেই মেদ হিসেবে জমতে পারে। তাই চিনি বা গুড় দেওয়া আচার বা জেলি নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের এসব পদ এড়িয়ে চলা জরুরি।


কতবেল মাখিয়ে বা ভর্তা করে খেলে এর সব পুষ্টি উপাদানই পাওয়া যায়। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে, ত্বককে সতেজ রাখে এবং হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। তবে কতবেলের জুস করলে এতে থাকা আঁশ নষ্ট হয়ে যায়। অথচ আঁশ রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। তাই জুসের চেয়ে সরাসরি কতবেল খাওয়া বা মাখানোই ভালো। অতিরিক্ত কতবেল খেলে পেটে অস্বস্তি হতে পারে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা শরীরে পানি জমার প্রবণতা আছে তাদের অতিরিক্ত লবণ দেওয়া কতবেল এড়িয়ে চলা উচিত। আর দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কতবেল না খাওয়াই ভালো।