
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
আধুনিক বিশ্বে প্রেম আর বিয়ে এখন শুধু দেশের সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অনেকেই ভালোবাসার টানে বিদেশি জীবনসঙ্গীকে বেছে নেন, আবার কেউ কেউ বিয়ের মাধ্যমে নতুন দেশের নাগরিক হওয়ার সুযোগ খোঁজেন। বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব কি? হ্যাঁ, বেশ কিছু দেশে তা করা যায়, তবে সময়সীমা, বসবাসের শর্ত ও স্থানীয় ভাষার জ্ঞান প্রয়োজন।
ব্রাজিল: দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশ হিসেবে বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্রাজিল বিশ্বের উদার দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। যদি আপনি ব্রাজিলের নাগরিককে বিয়ে করে এক বছর সেখানে টানা বসবাস করেন, তবে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে। ব্রাজিলে দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদিত, তাই বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হবে না।
পর্তুগাল: কোনো পর্তুগিজ নাগরিকের সঙ্গে তিন বছর বিবাহিত থাকলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা সম্ভব। দেশের ভিতরে বসবাসের প্রয়োজন নেই। তবে পর্তুগিজ ভাষা ও সংস্কৃতির জ্ঞান থাকলে সুবিধা বেশি। পর্তুগাল ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় নাগরিকত্ব পেলে ইউরোপের সুবিধা ভোগ করা যাবে।
পোল্যান্ড: পোলিশ নাগরিককে বিয়ে করলে তিন বছর পর এবং পোল্যান্ডে দুই বছর টানা বসবাসের পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। পোলিশ ভাষার পরীক্ষা পাস করতে হবে। যদিও জীবনযাপন সুন্দর, তবে উচ্চ আয়কর (১৮–৩২ শতাংশ) বিবেচনা করতে হবে।
সার্বিয়া: সার্বিয়ায় বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেতে হলে তিন বছরের বিবাহিত সম্পর্ক এবং স্থায়ী বসবাস আবশ্যক। যদিও নিয়ম কঠোরভাবে প্রয়োগ হয় না, সহজে পাসপোর্ট পাওয়া যায়। জীবনযাপনের খরচ তুলনামূলক কম এবং ইউরোপীয় দেশগুলোতে ভ্রমণ সহজ হয়।
ফ্রান্স: ফরাসি নাগরিককে বিয়ে করে নাগরিকত্ব পেতে চার বছর ধরে বিয়ে ও বসবাসের শর্ত রয়েছে। যদি বিয়ে ফ্রান্সের বাইরে হয়, সময়সীমা আরও দীর্ঘ হতে পারে। নাগরিকত্ব পাওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সুবিধা পাওয়া যাবে, তবে করের হার তুলনামূলক বেশি।
ইতালি: ইতালিতে বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য দুই বছর দেশটিতে বসবাস করতে হয়; অন্য দেশে থাকলে সময়সীমা তিন বছর। দম্পতির সন্তান থাকলে সময়সীমা অর্ধেক কমে যায়। ইতালির নাগরিকত্বের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সুবিধা মিলবে।