সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি প্রকাশ
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করে তার আলোকে পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে দ্বিতীয় ধাপের ১২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।


মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।


এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম দফার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল দলটি। একই দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামিও ১ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।


সংবাদ সম্মেলনে ইউনুছ আহমাদ বলেন, ধারাবাহিক কর্মসূচি ও সংলাপ সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘জনতার রক্তে গঠিত সরকার যদি জনগণের দাবি উপেক্ষা করে, তবে তার নৈতিক ও আইনগত বৈধতা ক্ষুণ্ন হবে।’


তিনি আরও বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের ইস্যুতে দলটি সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তা করেছে। কিন্তু স্বৈরতন্ত্রের স্থায়ী বিলোপের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে, আটক ব্যক্তিদের ৭৩ শতাংশ জামিনে মুক্তি পেয়েছে এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির উদ্যোগও দেখা যায়নি।


দলের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, 
১. জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন  
২. পিআর পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ 
৩. সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি 
৪. গণহত্যার বিচার এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার ও বিচারকালীন নিষিদ্ধকরণ।


ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, 
১. ১ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত গণসংযোগ 
২. ১০ অক্টোবর ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে গণমিছিল  
৩. ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান।


ইউনুছ আহমাদ বলেন, “আমরা জনগণের ন্যায্য দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মাঠে থাকতে চাই। যদি সরকার জনগণের দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে, তবে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”