
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
রাজধানীর গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কবিরুল হক ও আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি মোজাম্মেল হক-এর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ বৃহস্পতিবার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ আবেদনের ভিত্তিতে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার চেষ্টা করলেও আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গ্রেপ্তার করার পর কবিরুল ও মোজাম্মেলের মুঠোফোন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তাঁরা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের মধ্যে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করছেন। এ কাজে তাঁরা ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম ব্যবহার করেছেন। সহিংসতা ছড়াতে প্ররোচনা দিচ্ছেন। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। তবে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত কবিরুল ও মোজাম্মেলের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গতকাল বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে গুলশানের নিকেতন এলাকার একটি বাসা থেকে কবিরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যদিকে বুধবার দুপুরে গুলশানে অভিযান চালিয়ে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কবিরুল হক নড়াইল-১ আসন থেকে ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত বছর গণ–অভ্যুত্থানের পর আত্মগোপনে চলে যান। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে।