বিনা পয়সায় নবীর শহরে মদীনা ভ্রমণ
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

মাটির বাড়ি, মাটির ঘর। মেঝেতে খেজুর পাতার পাটি। নবী মোহাম্মদ সা. এর বিছানা সবই ছিল সাদাসিধে। কে বলবে, আরব জাহানের বাদশাহ রাষ্ট্র চালিয়েছেন মসজিদে নববীর এমন একটি স্থান থেকে। প্রতীকী ভাবে বিষয়গুলি বাস্তব করা হয়েছে সিরাত মিউজিয়াম উপস্থাপনার মাধ্যমে।


হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী প্রচীন মদীনার রাসুল সা. এর প্রতীকী আবাসভূমি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আয়েশা রা. ঘরে প্রতিচ্ছবি করা হয়েছে ঠিক প্রায় যেমন ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন।

 

ফাতেমা রা. বা নবীজীর ঘরের প্রতিকী উপস্থাপন্ও নজর কেড়েছে মুসল্লীদের।  নবী প্রেমীদের অবাক করেছে প্রিয় রাসুলের সাধারণ জীবনের প্রতিচ্ছবীতে। 


চাইলে পারতে শান শ্ওকত করতে। না  আসবাবে ঠাসা নয় তার বসতীতে। 



মসজিদে নববীর বিপরীতে রয়েছে আসহাবে সুফফা যাকে বলা যায় আধুনীক প্রেসক্লাব। কোন ্ওহি নাজিল বা জরুরী প্রয়োজনে বক্তব্য রাখতে মোহাম্মদ সা.। কোরআনের আয়াত হলে লিখে রাখতেন আর হদিস হলে মুখস্ত করতেন সাহাবীরা।

সবই রয়েছে সীরাত মিউজিয়ামের প্রদর্শনীতে।  একটুকরো মরু ভূমি যেন ধরা দিয়েছে ঢাকার কংিক্রটের শহরের ছাদে।  মরু ভাস্কর যেন কল্পনার ভাসছে মুসলিমের হৃদয়ে।


প্রতীকীভাবে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর যাপিত জীবন তুলে ধরা হয়েছে। প্রদর্শনীতে মাটির ঘর, দৈনন্দিন তৈজসপত্র, পানি রাখার মসক, খেজুরপাতার ছাউনি, খাট এবং তাঁর প্রিয় খাবারগুলো প্রদর্শন করা হচ্ছে।



নান্দনিক ও মহিমান্বিত এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন। প্রজন্ম বইপত্র পড়ে নবী করিম (সা.)-এর জীবনী জানে আয়োজকরা জানালেন চেষ্টা করা হয়েছে এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাস্তব করার।


মসজিদ উত-তাকওয়া সোসাইটি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সিরাত আয়োজনে রয়েছে সিরাত বই প্রদর্শনী, সিরাত আলোচনা, শিশুতোষ আলোচনা, নাশিদ সন্ধ্যা, নবীজীর সুবাস, নারীদের জন্য বিশেষ হালাকা, ফুড অফ প্রফেট (সা.), রং তুলিতে নবীজীর শহর, বায়োগ্রাফি অব প্রফেট (সা.) এবং থ্রিডি এনিমেশন শো।