
রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় ফাহমিদা তাহসিন কেয়া (২৫) নামে চার সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী সিফাত আলী (৩০) স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে কৌশলে পালিয়ে যান।
নিহতের ফুফু সৈয়দা ফাতেমা জাহান কলি জানান, বুধবার রাত ২টার দিকে সিফাত তার শাশুড়ি নাজমা বেগমকে ফোন করে বলেন—“কেয়া খুব অসুস্থ, বাসায় চলে আসুন।” চাপ দিলে একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, কেয়া আর বেঁচে নেই।
নাজমা বেগম ও তার স্বামী বাসায় পৌঁছালে দেখেন, সিফাত কেয়াকে নিয়ে পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে যাচ্ছেন। সেখানে চিকিৎসকরা কেয়াকে মৃত ঘোষণা করলে সিফাত দ্রুত হাসপাতাল থেকে সরে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা বাসায় ফিরে এসে দেখেন দরজায় তালা, সিফাত পালিয়ে গেছেন।
কেয়ার বাবা রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সিফাত ছিলেন বেপরোয়া ও খারাপ স্বভাবের। সন্তানদের সামনেই কেয়াকে নিয়মিত নির্যাতন করতেন। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বও চলছিল। “আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে, গলায় দাগ আছে। সুস্থ মানুষ হঠাৎ মারা যাবে—এটা হতে পারে না। সিফাত পালিয়েছে কেন?”—প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরও বলেন, “কেয়ার চার সন্তান—এক মেয়ে আর তিন ছেলে। বড় মেয়ে ভিকারুননিসা স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। কয়েক দিন আগে কেয়া বলেছিল সংসার করবে না, ফিরে আসতে চায়। আমরা ভুল করে তাকে আটকেছিলাম। আজ তার খেসারত মেয়েটা দিয়ে গেলো।”
এ ঘটনায় স্বামী সিফাতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি নিহতের পরিবারের।