চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেলরুটে দুর্ঘটনা ‘রুট ম্যাপ’ বদলাচ্ছে মানচিত্র
ছবিঃ সংগৃহীত

রেলপথ প্রকল্পের ইতিহাস শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাসে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্য নিয়ে।

ঠিক তার পাঁচ বছর পর, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০৩–১০৪ কিমি (প্রায় ১০২), ১১ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাস পথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর; তখনই "কক্সবাজার এক্সপ্রেস" নামে ঢাকা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

প্রথমে ঢাকা থেকে মাত্র একটি ট্রেন চললেও, কিছুদিন পর পর্যটক এক্সপ্রেস চালু হওয়ায় এখন তিনটি রুটে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে "সৈকত এক্সপ্রেস" ও "প্রবাল এক্সপ্রেস" নামে চট্টগ্রাম থেকে দুই জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন নিয়মিতভাবে চলাচল করছে, যা প্রতিদিন চট্টগ্রাম–দোহাজারী–রামু–কক্সবাজার পর্যন্ত উভয়পথে প্রায় ৪ যাত্রা করে; ট্রেনগুলিতে ১৬টি কোচে মোট ৭৪৩টি আসন রয়েছে।

রুটটিতে মোট ৭২টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে, যাদের মধ্যে মাত্র ১৬টিতে গেইট বা বাধা আছে। বাকিগুলো সম্পূর্ণ бую অসম রক্ষণাবেক্ষণে থাকা অরক্ষিত জায়গা; সেখানে কোনো গেটম্যান বা ব্যারিয়ারের অভাবে ট্রেন ও যানবাহনের জন্য মারাত্মক বিপত্তির কারণ হয়েছে।

সম্প্রতি কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার রশিদনগর লেভেল ক্রসিংয়ে ঘটে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা: সিএনজি চালিত অটোরিকশা ট্রেনে ধাক্কা খেয়ে পাঁচজন নিহত হন – তাদের মধ্যে চারজন একই পরিবারের সদস্য। ট্রেন ডাঙ্গালে তিন দিন পর্যন্ত চলতি অবরোধ শেষে স্থানীয়রা যোগাযোগ পুনরায় চালু করেন।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, এক ওয়ার্কে সাপ্তাহিক কয়েকটি নিয়ন্ত্রণহীন ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার ঘটনার সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একের পর এক হতাহতের ঘটনায় সুরক্ষা সংক্রান্ত সমাধান না হওয়ায় দ্রুত ব্যবস্থা চেয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় মহল ও রেল কর্মকর্তারা অনাবশ্যক লেভেল ক্রসিং ফাঁকা রেখে, অনুমোদিত লোকবল না দিয়ে নিরাপত্তায় ছেদনকারী অবহেলার চিত্র তুলে ধরেছেন। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে জানালেন: “যত দ্রুত সম্ভব চিন্তাভাবনা করে গেটম্যান ও ব্যারিয়ার স্থাপন করা হবে”।

লোকালদের দৃষ্টি আকর্ষণ রয়েছে: তাড়াহুড়া না করে নিরাপদে পারাপার, শুধুমাত্র ট্রেন নয়, হাঁটুড়াও যেন সচেতন হয়—এলাকায় সড়ক ও রেল নিরাপত্তার জরুরি সমন্বয়ের আহ্বান উঠেছে।