
এমন মর্মান্তিক ঘটনায় যেন আর কেউ ভুক্তভোগী না হয়—তার জন্য প্রয়োজন বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর ত্বরিত ও সমন্বিত আধুনিকায়ন।
আজকের দিনে আমরা এখনও কয়েক দশক পেছনে—পুরনো এফ ৭ এবং মিগ ২৯-এর মতো তৃতীয় প্রজন্মের জেট ব্যবহার করে নিজের আকাশ সীমিয়ানার সামর্থ্য সীমিত করে রেখেছি। কঠিন সত্য হল, দীর্ঘ একদশক ক্ষমতায় থাকা সরকার বিমান বাহিনীর উন্নয়নে লক্ষণীয় কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
ভারতের প্রতি একদিকের আনুগত্যে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা উপকরণ বিদেশে সংগ্রহের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও আর্থিক চাপ অব্যাহত। সন্ত্রাসী ভূমিকায় বসে তারা ভারত থেকে সমরাস্ত্র কেনার নামে বিঘ্ন ঘটিয়েছে, আর সেই লেনদেনের ভিত্তিতে দেশকে নানা ধরনের সমঝোতায় বাধ্য করেছে। এই ধরনের চুক্তিগুলো অনেক সময় জাতীয় স্বার্থের বিপরীতে উচ্চমূল্যে পরিচালিত হয়।
অন্যদিকে, দেশে সংরক্ষণে থাকা বিস্তীর্ণ অর্থের তুলনায় অমূল্য—এর বদলে অধিকাংশ লুটানিয়া মহাসড়ক, ফ্লাইওভার এবং নির্মাণে আসছে। অথচ, এই অর্থের মাধ্যমে অত্যাধুনিক মুল্টি-রোল ফাইটার জেট, আধুনিক ড্রোন এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি গ্রহণ করা সম্ভব ছিল। কিন্তু সেখানেও রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য ব্যয়সাপেক্ষ প্রকল্পকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা লুটপাট এবং প্রতিবন্ধকতা চালু থেকেছে বর্ধিত খরচের অংশ দিয়ে—যেখানে লাখ কোটি টাকা লুট হয়েছে, অথচ সামরিক উপকরণে কোনো বাস্তব বিনিয়োগ হয়নি।
বর্তমানে পুরনো বিমান ও অসমর্থ ডিফেন্স সিস্টেম বজায় রেখে আমরা স্বপ্রতিরক্ষা নিশ্চয়তায় অধিকারসম্পন্ন হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। প্রয়োজন Forces Goal 2030-এর মতো একটি বাস্তবায়নযোগ্য এবং অর্থনৈতিকভাবে টেকসই পরিকল্পনা, যা আন্তর্জাতিক নির্ভরযোগ্যতা ও কৌশল সমূহের ভিত্তিতে প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পারে।