বড় সন্তান স্বজনদের কাছে ফিরেছে, ছোট সন্তান এখনও নিখোঁজ
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকার উত্তরা এলাকায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনের সামনে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় স্কুল ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন, সেখানে তারা নিজেরাই সন্তানদের খোঁজাখুঁজি করছেন—কেউ খুঁজে পেয়েছেন, আবার কেউ এখনও সন্ধান পাচ্ছেন না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাটি সোমবার (২১ জুলাই) বেলা দেড়টার কিছু আগে ঘটে। ফ্লাইট চেক-আউট থেকে তখন মাত্র কয়েক মুহূর্ত কাটে,当 বিমানটি প্রজেক্ট-২ নম্বর ভবনের সামনের অংশে আছড়ে পড়ে। ধাক্কায় জ্বালানি লিকেজ হয় এবং মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মাইলস্টোনের দুইতলা ভবনে মোট ১৬টি শ্রেণিকক্ষ ও চারটি শিক্ষককক্ষ থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করেছে, এখন পর্যন্ত একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আর বহু ফায়ার সার্ভিস সদস্য, বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল আহতদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেছেন। বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৮ জন অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছে, আর কয়েকজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় গণরক্ষী সদস্যরা নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, অপরদিকে পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হতাহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক লাকি আক্তার বলেন, “বড় সন্তানকে বের করতে পেরেছি, কিন্তু ছোটটাকে এখনও খুঁজে পাচ্ছি না।” আরেক অভিভাবক ফেরদৌসী বেগম জানান, তার মেয়ে এখনও ভবনের ভেতরে আটকা রয়েছে এবং তিনি তার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না।

মাইলস্টোন কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সবুজ মিয়া বলেন, ক্লাসের শেষ সময় কয়েকজন ছাত্র বাইরে নেমেছিলেন; ঠিক সেই সময়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ায় ছুটন্ত পরিস্থিতিতে অনেকেই সেখানেই আটকা পড়েছেন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শ্রেণিকক্ষের সামনের এই দুর্ঘটনাস্থল দ্রুত আগুনে গ্রাস করা হয় এবং পরের কয়েক মিনিটে উদ্ধারকাজ শুরু হলেও জনস্রোত তাতে বাধা সৃষ্টি করেছে।