ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিল পর্তুগাল
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে পর্তুগাল। গতকাল রোববার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো র‍্যাঞ্জেল এ তথ্য জানান।


জাতিসংঘে পর্তুগালের স্থায়ী মিশনের সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া পর্তুগালের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক, স্থায়ী ও মূল ভিত্তি বাস্তবায়নের অংশ। তিনি আরও বলেন, ন্যায়সংগত ও স্থায়ী শান্তির একমাত্র পথ হিসেবে পর্তুগাল দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে সমর্থন জানাচ্ছে এবং এখন যুদ্ধবিরতি জরুরি।


র‍্যাঞ্জেল উল্লেখ করেন, গাজা বা গাজার বাইরে হামাসের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত নয়। একই সঙ্গে তিনি গাজায় সব জিম্মির মুক্তির দাবি জানান। তবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও গাজার চলমান দুর্ভিক্ষ, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের প্রভাব দূর হবে না বলে মনে করেন তিনি।


পর্তুগালের এই স্বীকৃতির আগে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। রোববার এই দেশগুলো আলাদাভাবে ঘোষণা দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, “এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় এসেছে। শান্তি ও দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান পুনরুজ্জীবিত করার আশায় যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।”


এর আগে জুলাই মাসে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়। এছাড়া ফ্রান্স, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও লুক্সেমবার্গও আগে থেকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির ঘোষণা করেছিল।


পশ্চিমা দেশের এই স্বীকৃতি ইসরায়েল ভালোভাবে নেয়নি। দেশটি বলেছে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত’ করা হবে।