রক্তক্ষয়ী অতীত থেকে শিক্ষার্থীর আস্থা, জাহাঙ্গীরনগরে শিবিরের পুনরুত্থান
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,' এই ক্যাম্পাসে অতিথি পাখি হত্যার বিচার হলেও হয়নি ছাত্রশিবির হত্যার বিচার , তারা অত্যাচার অবিচারের  শিকার হয়েছে, রক্ত ঝরেছে ক্যাম্পাসে, তবুও তাদের হত্যার বিচার হয়নি কোনোদিন। এই বৈপরীত্যই বারবার আলোচনায় ফিরিয়ে আনে জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্ররাজনীতিকে।




আশির দশকে ইসলামী ছাত্রশিবির এখানে সাংগঠনিক শক্তি গড়ে তোলে। তবে শুরু থেকেই  দমননীতি ও প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠনের আক্রমণের মুখে পড়তে হয় তাদের ।২০০৫-০৭ সালে জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানে নির্বিচারে গ্রেফতার ও বহিষ্কার করা হয় বহু শিক্ষার্থীকে। ২০১২-১৩ সালে ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে, তদন্তের প্রতিশ্রুতি থাকলেও  মেলেনি ফলাফল। এরপর ২০১৮-১৯ সালে শুধু শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত কর্মীরাই নয় এমনকি সাধারণ শিক্ষার্থীকেও ‘শিবির সন্দেহে’ হলে সিট হারাতে হয়েছিল।



দীর্ঘ এই ইতিহাস অতিক্রম করে জুলাই ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো উন্মুক্তভাবে অংশ নেয় জাহাঙ্গীরনগর কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে। এবং বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়ী হয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেল।




ডাকসুর নবনির্বাচিত জিএস এস এম ফরহাদ তার প্রতিক্রিয়ায় লেখেন, “অতিথি পাখি মারলে বিচার হতো, কিন্তু শিবির মারলে হতো না। অথচ আজ সেই শিবিরই শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করেছে।”


জাহাঙ্গীরনগরের এই নির্বাচনকে অনেকেই দেখছেন নতুন এক প্রেক্ষাপটের সূচনা হিসেবে। তবে ছাত্রশিবিরের রক্তক্ষয়ী অতীতের বিচার হবে কি না, সে প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি।