
মার্কিন শুল্ক নীতিকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। শুল্ক ইস্যুতে দিল্লি শেষ পর্যন্ত ওয়াশিংটনের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হবে, এমনই দাবি করেছেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “দুই মাসের মধ্যেই ভারত চুক্তির টেবিলে ফিরবে, ‘সরি’ বলবে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সমঝোতায় আসবে।” লুটনিক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন না করলে ভারতের রপ্তানি পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বহাল থাকবে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ভারত রাশিয়ার সস্তা ও নিষিদ্ধ তেল কিনে বিপুল মুনাফা করছে। তিনি আরও বলেন, “ভারতের অবস্থান মূলত শক্ত দেখানোর চেষ্টা, তবে শেষ পর্যন্ত দেশটির ব্যবসায়ী মহলই ওয়াশিংটনের সঙ্গে সমঝোতার চাপ দেবে।”
এদিকে, একই দিনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্রূপ করে লিখেছেন, “আমরা ভারত ও রাশিয়াকে চীনের অন্ধকারে হারিয়ে ফেলেছি।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি নয়াদিল্লি-মস্কো-বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে ট্রাম্পের সবচেয়ে স্পষ্ট মন্তব্য।
তবে ভারতের প্রতিক্রিয়াও এসেছে কঠোর ভাষায়। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সিএনবিসি টিভি১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট বলেন, “ভারত রাশিয়ান তেল কিনতেই থাকবে, কারণ জ্বালানি নীতিতে সিদ্ধান্ত নেবে একমাত্র ভারতই।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্কিন প্রশাসনের বক্তব্যকে “ভুল ও বিভ্রান্তিকর” আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যার মধ্যে রাশিয়ার তেল কেনার জন্য ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক। নয়াদিল্লি এটিকে ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক’ বলে নাকচ করে দিয়ে জানিয়েছে, “নিজেদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে তারা।”