ভেনেজুয়েলা উপকূলে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, মাদকবিরোধী অভিযান নাকি সরকার পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র?
ছবিঃ সংগৃহীত

ক্যারিবিয়ান সাগরের ঢেউ এখন উত্তাল! তবে সেটা শুধুই প্রাকৃতিক কারণে নয় বরং রাজনৈতিক ঝড়েও কাঁপছে ভেনেজুয়েলার উপকূল। আটটি যুদ্ধজাহাজ আর বারো শতাধিক মিসাইল নিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উপকূলে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার এই সামরিক অচলাবস্থা।



ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, “ওয়াশিংটন সরকার পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র করছে এবং সামরিক হুমকির মধ্য দিয়ে ভেনেজুয়েলাকে দমনে কাজ করছে।”

তিনি বলেন, “এটা শুধু মাদকবিরোধী অভিযান নয়, বরং সরকার পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র। তাঁর দাবি, “ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় সামরিক হুমকি তৈরি করেছে ওয়াশিংটন।”



যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে অবশ্য দেওয়া হয়েছে ভিন্ন ব্যাখ্যা। তাদের মতে, লাতিন আমেরিকায় মাদক পাচার রুখতেই এই বিশাল সামরিক মহড়া। তবে অভিযোগ আছে, প্রেসিডেন্ট মাদুরো নিজেই মাদক কারবারে জড়িত। এমনকি তাকে ধরিয়ে দিতে ঘোষণা করা হয়েছে ৫০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার।



বর্তমানে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে অবস্থান করছে ইউএসএস গ্র্যাভলি, ইউএসএস জেসন ডানহাম, ইউএসএস স্যাম্পসন এবং ইউএসএস লেক এরি’র মতো শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ। আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, খুব শিগগিরই যোগ হতে পারে আরও জাহাজ, নাবিক ও ইউএস মেরিন।



প্রতিক্রিয়ায় ভেনেজুয়েলা ইতোমধ্যেই উপকূল ও সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে। শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষকেও আধাসামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো।



বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলা সম্পর্ক এখন ইতিহাসের ভয়াবহতম অচলাবস্থায়। পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে রূপ নিতে পারে পূর্ণাঙ্গ সামরিক সংঘাতে।


প্রশ্ন একটাই, এটি কি শুধুই মাদকবিরোধী অভিযান? নাকি লাতিন আমেরিকার মানচিত্রে নতুন এক যুদ্ধের সূচনা?