
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করে, ফলে ভারত থেকে আমদানিতে মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০%।
এটি মূলত রাশিয়ার তেল আমদানির ‘শাস্তি’ হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে চীন ও তুরস্কের মতো দেশগুলোকে এই ধরনের শাস্তিমূলক শুল্কের আওতায় আনা হয়নি।
শিল্প বিশেষজ্ঞ এবং গবেষণাগোষ্ঠী GTRI জানিয়েছে, এই শুল্কের ফলে মার্কিন বাজারে ভারতীয় পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে, যাতে রপ্তানি ৪০–৫০% পর্যন্ত পতন হতে পারে।
সর্বোচ্চ হারে শুল্ক প্রযোজ্য হবে:
- জৈব রাসায়নিক – ৫৪%
- কার্পেট – ৫২.৯%
- নিট পোশাক – ৬৩.৯%
- তাঁতবস্ত্র – ৬০.৩%
- তৈরি টেক্সটাইল (ম্যাড আপস) – ৫৯%
- রত্ন ও গয়না – ৫২.১%
- যন্ত্রপাতি ও মেকানিক্যাল অ্যাপ্লাই্যান্স – ৫১.৩%
- আসবাব, ম্যাট্রেস – ৫২.৩%।
FIEO-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় রপ্তানির ৫৫% আমেরিকান খাতে এখন হুমকির মুখে, এবং এই শুল্কের কারণে রপ্তানি খরচ ও প্রতিযোগিতামূলক অবস্থার ৩০ ৩৫% অবনতি ঘটতে পারে।
- বিপুল ক্ষতির মুখে থাকা খাতগুলো:
- বস্ত্র ও পোশাক – $১০.৩ বিলিয়ন
- রত্ন ও গয়না – $১২ বিলিয়ন
- চিংড়ি – $২.২৪ বিলিয়ন
- চামড়া ও জুতা – $১.১৮ বিলিয়ন
- রাসায়নিক – $২.৩৪ বিলিয়ন
- যন্ত্রপাতি – $৯ বিলিয়ন।
সামুদ্রিক খাদ্য রপ্তানিকারকদের মন্তব্য অনুযায়ী, চিংড়ির ক্ষেত্রে আমেরিকানে শুল্ক আজ থেকে সীমাহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩.২৬% পৌঁছাবে, যেখানে ইকুয়েডরের কেবল ১৫%।
এ ক্ষেত্রে টেক্সটাইল শিল্প (CITI) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে — মার্কিন বাজারে বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানিতে প্রতিযোগিতামূলক নাগালের ব্যাপক হ্রাস সম্ভাব্য।