
গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনার সময় স্টিভ উইটকফ, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত, ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বলেছেন যে হামাস তাদের ‘নিরস্ত্রীকরণের ইচ্ছা’ জানিয়েছে।
এই বক্তব্য ইসরায়েলি সংবাদমাধ্য হারেৎজ আখ্যায়িত করে, যেখানে বলা হয় হামাস গাজা যুদ্ধ শেষ করতে অস্ত্র ত্যাগের বিষয়ে প্রস্তুত ।
হামাস শনিবার এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে এই দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করে বলেছে যে, প্রতিবন্ধকতা যেমন “ঘপ” বা রাজনৈতিক চাপ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, তেমনই এটি বাস্তবের মিথ্যে প্রতিফলন। তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, অবিচ্ছেদ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনি অধিকার অনুযায়ী ‘প্রতিরোধ ও অস্ত্র ধারণ করা যাবতীয় সময় পর্যন্ত বৈধ’, যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েলি দখলদারি বিরাজমান থাকবে।
বিবৃতিতে হামাস আরও উল্লেখ করেছে যে, তাদের এই অধিকার কেবল তখনই ত্যাগ করা হবে যখন ‘ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পূর্ণসংখ্যক সার্বভৌম স্বাধীন রাষ্ট্র’ (এর রাজধানী হবে জেরুজালেম) প্রতিষ্ঠিত হবে, একটি রাষ্ট্র যা ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিকভাবে স্বীকৃত ও ক্ষমতাশালী হবে ।
উইটকফ একই সময় গাজায় গিয়ে তারা পরিচালিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন’ (GHF) নামক বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখেন, যা জাতিসংঘের কঠোর সমালোচনার মুখে—অনেক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এটিকে “মিলিটারাইজড” এবং “মানবতার নীতি লঙ্ঘন” হিসেবে অভিহিত করেছে।
GHF কেন্দ্রগুলোর আশেপাশে ২০২৫ সালের মে মাস থেকে এ পর্যন্ত ১,০০০-এর অধিক প্যালেস্টিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই ত্রাণের জন্য উপরের শারীরিক কুরুচি সহ্য করেছেন। এইসব দৃশ্য “GHF-এর সঙ্গে যুক্ত একটি প্রচারমূলক ‘সাজানো অনুষ্ঠান’” বলে বিবেচনা করেছে হামাস, যারা বলেছে—এমন সফর করা দু’চোখে পেট ভরে খাওয়ার চেষ্টা নয় বরং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার।