ইতালির মনোরম শহর কেন হয়ে উঠছে জনশূন্য ও ভুতুড়ে?
ছবিঃ সংগৃহীত

ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় তীরবর্তী ছোট্ট শহর ফ্রেগোনা এখন ধীরে ধীরে সংকটাক্রান্ত হয়ে উঠছে। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই শহরে অনেক সুপারমার্কেট, রেস্তোরাঁ ও সেলুন এখন বন্ধ, অফিসঘরও প্রায় ফাঁকা—কাজ করে না।

স্থানীয় মেয়র জানিয়েছেন স্কুলের প্রথম শ্রেণি চালু রাখা যাচ্ছে না, কারণ সেখানে মাত্র চারজন শিশু রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ক্লাসে অন্তত দশজন শিক্ষার্থী থাকতে হবে, তাই তারা এই ক্লাস বন্ধ করার চিন্তায় রয়েছেন।

ফ্রেগোনার জনসংখ্যা গত দশকের মধ্যে প্রায় ২০ % কমেছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মাত্র চারটি জন্ম হয়েছে, এবং প্রায় ২,৭০০ জন বাসিন্দার মধ্যে অধিকাংশই প্রবীণ। মেয়র দে লুকা উল্লেখ করেন, যদি শিশুরা বাইরে স্কুলে পড়ে থাকেন, তখন ফ্রেগোনার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি টলবে না; তাই তিনি আশপাশের এলাকা ঘুরে অভিভাবকদের সন্তানেরা ফ্রেগোনার স্কুলে ভর্তি করার প্রস্তাব দিচ্ছেন। পৌরসভা পরিকল্পনা করে মিনিবাস পাঠাতে, আগামির খরচ সহায়তা করতে এবং সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত শিশুদের স্কুলে রাখতে।

তিনি বলেন, “এইভাবে চলতে থাকলে ওই এলাকায় জীবন বিলীন হয়ে যাবে।”

ইতালির জনসংখ্যা সংকট শুধুমাত্র ফ্রেগোনায় সীমাবদ্ধ নয়—এটি দেশের সামগ্রিক একটি সমস্যা। ২০২৪ সালে দেশটিতে মাত্র ৩৭০,০০০ জন্ম হয়েছে, যা একশো ষোড়শ বার হ্রাস এবং এটি ১৮৬১ সালের পর সর্বনিম্ন। এ সময়কালেই মৃত্যুর সংখ্যা জন্মের তুলনায় ২৮০,০০০ বেশি, ফলে দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৩৭,০০০ জন কমে প্রায় ৫৮.৯৩ মিলিয়ন হয়েছে ।

একজন নারীকে গড় করে ১.১৮ সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন—যা প্রতিস্থাপন হারের (২.১) তুলনায় অনেক কম, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের গড় হার থেকেও (১.৩৮) নিচে ।

ফলস্বরূপ, ইটালির গ্রামীণ ও পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যুব সমাজ শহর বা বিদেশে চলে যাচ্ছে, ফলে স্কুল বন্ধ, দোকান-বাস ব্যবসা বন্ধ, স্থানীয় অর্থনৈতিক জীবন লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। শহর ও গ্রামের মধ্যে জনশূন্যতা বাড়ছে এবং একধরনের ‘ডেমোগ্রাফিক শীত’ চলছে ।

ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় তীরবর্তী ছোট্ট শহর ফ্রেগোনা এখন ধীরে ধীরে সংকটাক্রান্ত হয়ে উঠছে। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই শহরে অনেক সুপারমার্কেট, রেস্তোরাঁ ও সেলুন এখন বন্ধ, অফিসঘরও প্রায় ফাঁকা—কাজ করে না। স্থানীয় মেয়র জানিয়েছেন স্কুলের প্রথম শ্রেণি চালু রাখা যাচ্ছে না, কারণ সেখানে মাত্র চারজন শিশু রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ক্লাসে অন্তত দশজন শিক্ষার্থী থাকতে হবে, তাই তারা এই ক্লাস বন্ধ করার চিন্তায় রয়েছেন।

ফ্রেগোনার জনসংখ্যা গত দশকের মধ্যে প্রায় ২০ % কমেছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মাত্র চারটি জন্ম হয়েছে, এবং প্রায় ২,৭০০ জন বাসিন্দার মধ্যে অধিকাংশই প্রবীণ। মেয়র দে লুকা উল্লেখ করেন, যদি শিশুরা বাইরে স্কুলে পড়ে থাকেন, তখন ফ্রেগোনার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি টলবে না; তাই তিনি আশপাশের এলাকা ঘুরে অভিভাবকদের সন্তানেরা ফ্রেগোনার স্কুলে ভর্তি করার প্রস্তাব দিচ্ছেন। পৌরসভা পরিকল্পনা করে মিনিবাস পাঠাতে, আগামির খরচ সহায়তা করতে এবং সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত শিশুদের স্কুলে রাখতে।

তিনি বলেন, “এইভাবে চলতে থাকলে ওই এলাকায় জীবন বিলীন হয়ে যাবে।”

ইতালির জনসংখ্যা সংকট শুধুমাত্র ফ্রেগোনায় সীমাবদ্ধ নয়—এটি দেশের সামগ্রিক একটি সমস্যা। ২০২৪ সালে দেশটিতে মাত্র ৩৭০,০০০ জন্ম হয়েছে, যা একশো ষোড়শ বার হ্রাস এবং এটি ১৮৬১ সালের পর সর্বনিম্ন। এ সময়কালেই মৃত্যুর সংখ্যা জন্মের তুলনায় ২৮০,০০০ বেশি, ফলে দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৩৭,০০০ জন কমে প্রায় ৫৮.৯৩ মিলিয়ন হয়েছে ।

একজন নারীকে গড় করে ১.১৮ সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন—যা প্রতিস্থাপন হারের (২.১) তুলনায় অনেক কম, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের গড় হার থেকেও (১.৩৮) নিচে ।

ফলস্বরূপ, ইটালির গ্রামীণ ও পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যুব সমাজ শহর বা বিদেশে চলে যাচ্ছে, ফলে স্কুল বন্ধ, দোকান-বাস ব্যবসা বন্ধ, স্থানীয় অর্থনৈতিক জীবন লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। শহর ও গ্রামের মধ্যে জনশূন্যতা বাড়ছে এবং একধরনের ‘ডেমোগ্রাফিক শীত’ চলছে ।