তেহেরানে জানাজায় লাখো মানুষের ঢল
ছবিঃ সংগৃহীত

সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় নিহত শহীদদের জানাজায় তেহরানে শনিবার (২৮ জুন) জড়ো হন হাজারো মানুষ। ঐতিহাসিক ইঙ্গেলাব স্কয়ার ও তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের রাস্তা ছিল শোকাভিভূত জনতার ভিড়ে পরিপূর্ণ।

জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিন যখন এগিয়ে চলছিল, তখন মানুষের চোখে ছিল অশ্রু, আর কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছিল—‘আল্লাহু আকবর’ ও ‘শহীদরা অমর’। এই জানাজা শুধু প্রিয়জনকে বিদায় জানানোর নয়, ছিল একতা আর প্রতিরোধের বার্তাও—ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরান আজ ঐক্যবদ্ধ।

হামলায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাসহ বেসামরিক নাগরিকরাও। অনেকেই বলছেন, এই শহীদরা এখন ইরানের গৌরবের প্রতীক—যাঁদের আত্মত্যাগ জাতিকে জোগাবে সাহস ও প্রতিরোধের শক্তি।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন—এই হামলার দায় কেউ এড়াতে পারবে না। এরই মধ্যে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর 'অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি'-এর আওতায় ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

এতেই থেমে থাকেনি সংঘাত। ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি আঘাত হানে ইরানের নাতানজ, ফোরদো ও ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায়। সংঘাতের মাত্রা চরমে ওঠে।

অবশেষে ২৪ জুন কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন—এই বিরতি আপাত শান্তি, কিন্তু নিচে চাপা পড়ে আছে উত্তপ্ত আগুন।