প্রশাসনের ​আশ্বাসে রেজিস্ট্রার ভবনের তালা খুলল জাকসু
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু)। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর আজ সোমবার দুপুরে সেই তালা খুলে দেওয়া হয়েছে।


​আজ দুপুর একটায় জাকসু নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম জানান, আগামী ১৮ ডিসেম্বর সাভার মডেল থানাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। এ ছাড়া জুলাই হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে ২০২৬ সালের ৭ জানুয়ারি আইসিটি সেলে মামলা করা হবে।


​এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জাকসু নেতারা প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেন। মঙ্গলবার থেকে যথারীতি প্রশাসনিক কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 


​এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা ঝুলিয়ে দেন জাকসু নেতারা। জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালিত হয়।


​প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ থাকায় দাপ্তরিক কাজ, ফাইল আদানপ্রদান ও আর্থিক লেনদেনসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, “প্রশাসনিক ভবনে তালা থাকায় অফিস কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা ও নবনির্মিত হলগুলোর গ্যাস সংযোগ উদ্বোধনের কাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”


​এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসের মতো জাতীয় দিবস পালনে প্রশাসনিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটার শঙ্কায় উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।


​তালা খুলে দেওয়া হলেও দাবি না মানলে ফের কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে জাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী চিশতী বলেন, “প্রশাসন যে বিষয়গুলোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন না হলে আগামী ৭ জানুয়ারি আবারও প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ করা হবে।”