
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংস ও ৭৮ রানের বড় পরাজয়ের পর বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শনিবার (২৮ জুন) কলম্বো টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
শান্ত বলেন, “আমার একটা ঘোষণা ছিল—আমি বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছি। আমি টেস্ট ফরম্যাটে আর অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে চাই না।”
তিনি জানান, এটি একান্তই দলের ভালোর কথা ভেবেই নেওয়া সিদ্ধান্ত। “আমি একটা জিনিস সবাইকে ক্লিয়ারলি মেসেজ দিতে চাই যে, এটা কোনো পারসোনাল কিছু না। এটা দলের ভালোর জন্যই নেওয়া সিদ্ধান্ত এবং এটাতে দলের ভালো কিছু হবে বলে আমি মনে করি। আমার ব্যক্তিগত মতামত, তিন ফরম্যাটে তিনজন অধিনায়ক থাকা দলের জন্য ভালো। পুরোটা দলের ভালোর জন্যই আমি এখান থেকে সরে এসেছি।”
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষে তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন শান্ত। তবে সব কিছু গুছিয়ে নেওয়ার আগেই গত বছর নেতৃত্ব ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তৎকালীন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অনুরোধে তখন সরে আসেন সেই সিদ্ধান্ত থেকে এবং কেবল টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব ছেড়ে দেন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজের আগেই হঠাৎ ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারান শান্ত। তার জায়গায় দায়িত্ব পান মেহেদী হাসান মিরাজ। তখন থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়, টেস্ট নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়াতে পারেন শান্ত। অবশেষে সেই গুঞ্জন সত্যি হলো।
অধিনায়ক হিসেবে শান্তর পারফরম্যান্স অবশ্য মন্দ ছিল না। তার টেস্ট ক্যারিয়ার গড় যেখানে ৩২, নেতৃত্ব পেয়ে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬-এ। অধিনায়কত্বকালীন সময়ে করা ৩টি সেঞ্চুরি এবং ২টি ফিফটি তার উন্নতির সাক্ষ্য দেয়।
বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল আগেই বলেছিলেন, শান্তর কাছ থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়নি, বরং দলীয় সিদ্ধান্তেই পরিবর্তন আনা হয়েছে। শান্তও খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতায় সেটি মেনে নিয়েছেন।
শান্তর বিদায়ের পর এখন প্রশ্ন—কে হবেন নতুন টেস্ট অধিনায়ক? বিসিবি শিগগিরই নতুন নেতৃত্বের ঘোষণা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।