
১২ দিনের ভয়াল সংঘাত শেষে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের অবসান ঘটলেও আলোচনায় রয়ে গেছে প্রতিরক্ষা-প্রতিআক্রমণের নাটকীয় পরিসংখ্যান। যুদ্ধের সময় ইরান যে বিপুল সংখ্যক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করে, তার বিপরীতে তিনটি দেশের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই কাজ করে। তবু এই ‘সমবায় প্রতিরক্ষা’ও ইরানকে পুরোপুরি দমন করতে পারেনি।
উৎক্ষেপিত ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় ২২ শতাংশ ধ্বংস করে জর্ডানের বিমান বাহিনী—নিজ দেশের আকাশপথকে রক্ষা করার পাশাপাশি ইসরায়েলের দিকেও সহায়তা করে তারা।
২৫ শতাংশ ধ্বংস করে যুক্তরাষ্ট্র, যার ‘থ্যাড’ (THAAD) আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন ছিল পারস্য উপসাগর ও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে।
সবচেয়ে বড় অংশ—৫৩ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবেলা করে ইসরায়েল নিজস্ব আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে, যার মধ্যে আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং এবং অ্যারো সিস্টেম ছিল সক্রিয়।
কিন্তু প্রযুক্তিগত এই ‘সফলতা’ সত্ত্বেও ইরান সামরিকভাবে একতরফাভাবে পরাজিত হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, একাধিক স্থানে পাল্টা আঘাত ও গোপন সাইবার হামলার মাধ্যমে ইরান সামগ্রিক যুদ্ধের গতিপথে ভারসাম্য বজায় রেখেছে।