তেহরান টাইমস: যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য অসত্য
ছবিঃ সংগৃহীত

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর একটি কৌশল মাত্র—এমনটাই জানাচ্ছে তেহরান টাইমস।

মঙ্গলবার ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান ও ইসরায়েল ‘সম্পূর্ণরূপে সম্মত হয়েছে’ এবং প্রায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। তবে তেহরানের পক্ষ থেকে এ দাবিকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছে।

তেহরান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইচ্ছাকৃতভাবে এই ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে ইরানের ওপর রাজনৈতিক চাপ তৈরির চেষ্টা করছেন। তার উদ্দেশ্য হলো—ইরানি সরকার ও জনগণের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করা এবং অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বাড়িয়ে তোলা।

এ ধরনের কৌশল নতুন নয়। এর আগেও ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও দুই সপ্তাহ সময় নেবেন। অথচ বাস্তবে তিনি সেই সময়ই গোপনে ইসরায়েলকে ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দেন। একই সময় তিনি ইরানের সঙ্গে পর্দার আড়ালে দুই মাস ধরে চলা আলোচনাতেও জড়িত ছিলেন।

মিথ্যা যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরপরই ইরানি পার্লামেন্ট স্পিকারের উপদেষ্টা মাহদি মোহাম্মাদি প্রথম প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মিথ্যা বলছে। তারা চায় ইরান তাদের গা-ছাড়া মনোভাব দেখাক, যাতে আরও বড় ধরনের হামলা চালানো সহজ হয়।”

উল্লেখ্য, চলতি ইরান-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হয় ১৩ জুন। ওইদিন ইসরায়েল ইরানের আবাসিক ভবন ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এ হামলা এমন এক সময়ে ঘটে, যখন ইরান ওয়াশিংটনের সঙ্গে ষষ্ঠ দফা পরোক্ষ আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।