প্রাথমিক শিক্ষায় সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবিতে গাজীপুরে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কাপাসিয়া শহরের কলেজ রোডে সত্যেন সেন সঙ্গীত একাডেমির সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উদীচী গাজীপুর ও কাপাসিয়া শাখার অর্ধশতাধিক সংস্কৃতিকর্মী অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উদীচী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক পদ বাতিল করে শিশুদের মানবিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের পথ রুদ্ধ করছে। অথচ সৌদি আরবের মতো দেশেও ১৭ হাজার নারী শিক্ষককে সঙ্গীত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালেও তারা ১২ হাজার শিক্ষককে সংগীতে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সেখানে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে, আর আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি, এটি দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।”
তিনি আরও বলেন, “শিশুরা গান গাইতে পারবে না, কবিতা আবৃত্তি করতে পারবে না এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের সংস্কৃতি বিকাশের পথে বড় বাধা। আমরা এই সিদ্ধান্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি এবং অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি ছিল দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে, কিন্তু সরকার উল্টো পদটি বাতিল করেছে।”
উদীচী কাপাসিয়া শাখার সভাপতি নুরুল আমীন সিকদার বলেন, “কোনো অদৃশ্য কারণে প্রাথমিক শিক্ষায় সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক পদ বাতিল করা হয়েছে। সারাদেশে এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। আমরা আজ সেই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করছি।”
কাপাসিয়া উপজেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিক ফকির বলেন, “এ বিষয়ে এখন আর চুপ থাকা যাবে না। দেশের সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে সত্যেন সেন সঙ্গীত একাডেমির শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীতসহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ গানটি পরিবেশন করেন।

