আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে জমে উঠেছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এই আসনে জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে নির্বাচন করবেন আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি আমির হামজা।
জামায়াতের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর থেকেই কয়েক মাস ধরে এলাকায় জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। শুধু কুষ্টিয়ায় নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও রয়েছে তার বিপুল সংখ্যক অনুসারী। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনে আমির হামজা প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারেন।
অন্যদিকে, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকির হোসেন সরকার। সোমবার বিকেলে তার নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তবে প্রার্থী ঘোষণার পরপরই দলীয় বিরোধের সুর উঠেছে বিএনপির ভেতরেই। জেলার মজমপুরে সাবেক এমপি অধ্যাপক সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
তবুও জাকির সরকারের পক্ষে কথা বলছেন তার সমর্থকেরা। তারা মনে করেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে তার জনপ্রিয়তা এবং স্থানীয় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তাকে এগিয়ে রাখবে। বিশেষ করে, ‘গ্রীন কুষ্টিয়া, ক্লিন কুষ্টিয়া’ উদ্যোগে শহরে গাছ লাগানোর জন্য তিনি ইতিমধ্যেই ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন।
অপরদিকে, মুফতি আমির হামজার রয়েছে বৃহৎ ধর্মীয় অনুসারী শ্রেণি ও জামায়াতের ঐতিহ্যবাহী ভোট ব্যাংক। পূর্বে কুষ্টিয়া সদর থেকে জামায়াত-মনোনীত প্রার্থী মোশাররফ হোসেন বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, এই আসনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কে হাসবেন বিজয়ের শেষ হাসি, তা জানতে অপেক্ষা এখন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পর্যন্ত।
                                
                                
                                
                                
                                
