
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। ইসরায়েলের তেহরানভিত্তিক সামরিক, প্রশাসনিক ও পরমাণু স্থাপনায় সাম্প্রতিক হামলা কেবল কৌশলগত নয়—এটি ইরানকে রাজনৈতিকভাবে ভেঙে ফেলার প্রয়াস। কিন্তু বাস্তবে এই আঘাতেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠছে ইরানি জনতা। এমনকি সরকারবিরোধী নেতারাও এখন বলছেন—দেশ আগে, তারপর মতাদর্শ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই যুদ্ধ শাসনের বিরুদ্ধে নয়, বরং অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে দেখছে ইরানিরা। সাইবার হামলা, টার্গেট কিলিং, বিমান হামলা মিলিয়ে ইসরায়েলের ‘হাইব্রিড ওয়ার’ এখন উল্টো ইরানের জাতীয়তাবাদী চেতনা পুনরুজ্জীবিত করেছে। পশ্চিমে থাকা বিরোধী নেতারাও সংকটে পড়েছেন।
এমন উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটে সামনে এসেছে নতুন শঙ্কা—ইসরায়েল কি এবার আল আকসা মসজিদে হামলা চালিয়ে দায় চাপাতে চাইছে ইরানের ঘাড়ে? বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি হতে পারে ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ অপারেশনের অংশ। আল আকসা ধ্বংসের বহু পুরোনো পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তারা সতর্ক করেছেন, এই মুহূর্তটি তেল আবিবের জন্য কৌশলগতভাবে খুব সুবিধাজনক।
তুরস্কের ওআইসি সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। তিনি বলেন, ইরানের ওপর এই আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন। তিনি অবিলম্বে হামলা বন্ধ ও আন্তর্জাতিক জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
এখন প্রশ্ন—এই সংঘাতে জাতিসংঘ ও মুসলিম বিশ্ব কতটা প্রস্তুত এবং ঐক্যবদ্ধ?