ইউআইইউ প্রশাসনের মতের বিরুদ্ধে গেলেই কি লাঠিচার্জ?
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ প্রশাসনের বিরুদ্ধে একাধিক দাবিতে আন্দোলনে নামা ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২১ জুন) সকাল সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর, বেলা পৌনে ১১টার দিকে পুলিশ তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং বলপ্রয়োগ করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনকারীদের ভাষ্যমতে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলেন এবং ‘বহিষ্কার প্রত্যাহার’ ও ‘প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতা’র প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। সকাল ৯টার দিকে পুলিশ সরে যেতে বললে শিক্ষার্থীরা অবস্থান চালিয়ে যান। এর কিছু সময় পর হঠাৎ করেই পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে এবং ধাক্কাধাক্কি করে শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হোন।

একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, তারা কোনও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। বরং শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের অবস্থান জানাচ্ছিলেন। অথচ কোনও সতর্কতা ছাড়াই তাদের উপর বলপ্রয়োগ করা হয়। তাদের মতে, “প্রশাসন আমাদের কণ্ঠরোধ করতে চায়। আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে অন্যায়ভাবে, অথচ সেই অন্যায়ের কথা বলারও সুযোগ নেই।”

এর পূর্বে, গত ২৬শে এপ্রিল তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন ইউআইইউ-এর শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলনের পর প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার, মন্তব্যের কারণেই তাদের বহিষ্কার এবং পরিবারের সদস্যদের হেনস্তা করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি বলে দাবি করেন তারা।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অভিযোগ জানালেও এখনও কোনও কার্যকর সাড়া মেলেনি।

লাঠিচার্জ ও দমনমূলক আচরণ সত্ত্বেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের বক্তব্য, “বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমরা পিছু হটবো না।