হামাসের সবুজ সংকেত, ইসরায়েলকে হামলা বন্ধের নির্দেশ ট্রাম্পের
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

গাজা সংকটে নতুন মোড়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবের আনুষ্ঠানিক জবাব দিলো হামাস। দীর্ঘ আলোচনার পর হামাস জানিয়েছে, তারা কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে সম্মত। তবে এর সাথে তারা জুড়ে দিয়েছে কিছু শর্ত। বিস্তর আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের দাবি হামাসের।


প্রথমত, হামাস বলছে, ট্রাম্পের কাঠামো অনুযায়ী জীবিত ও নিহত সব ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিতে তারা রাজি। তবে তা হবে প্রিজনার এক্সচেঞ্জ ফর্মুলার আওতায়।


দ্বিতীয়ত, গাজার প্রশাসন একটি নিরপেক্ষ ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটিক কমিটির হাতে হস্তান্তরের প্রস্তাবে তাদের সম্মতি রয়েছে। তবে কোনো বিদেশি শক্তির হাতে নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া হবে না বলে জানায় হামাস।


তৃতীয়ত, ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে গাজা পুনর্গঠনের উদ্যোগকেও তারা সমর্থন করছে।



হামাসের এই প্রতিক্রিয়াকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রুথ সোশালের এক পোস্টে তিনি বলেন, “হামাস টেকসই শান্তির পথে এগোতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে সতর্ক করে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, গাজায় বোমাবর্ষণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। কারণ কেবল তাতেই জিম্মিদের নিরাপদ মুক্তি সম্ভব।”


তবে এখনো মেলেনি সব প্রশ্নের উত্তর। গাজার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অবস্থান, ফিলিস্তিনি অধিকারের নিশ্চয়তা, এসব নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনার দাবি জানিয়েছে হামাস।


এখন সিদ্ধান্তের ভার ট্রাম্পের হাতে। তিনি যদি এ উদ্যোগকে এগিয়ে নেন, তবে গণহত্যা বন্ধের পাশাপাশি শান্তির এক নতুন অধ্যায় সূচিত হতে পারে। কিন্তু যদি ইসরায়েলের চাপে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যাত হয়, তাহলে গাজায় আবারও তৈরি হবে ভয়াবহ আগ্রাসনের ঝুঁকি।



সবশেষে এখনো কাটেনি অনিশ্চয়তার কুয়াশা। তবে কি শান্তির পথে এগোবে বিশ্ব, নাকি আবার রক্তাক্ত হবে গাজা, দৃষ্টি এখন হোয়াইট হাউসের দিকে।