
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জ-১ আসন তথা মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী এলাকায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশায় ব্যাপক গণসংযোগ ও তৃণমূল কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মতবিনিময় সভা, গণসংযোগ ও সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে তিনি ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন।
সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয়তাবাদী ধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাংগঠনিক পদে উন্নীত হন। তিনি বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি দলের কেন্দ্রীয় সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দাবি, সৈয়দ মেসবাহর দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি তাকে গোপালগঞ্জ-১ আসনে গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি স্থানীয় উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও যুব সমাজের সুযোগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বলেন, “গোপালগঞ্জ-১ আসনের মানুষের উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষার জন্য আমি কাজ করতে চাই। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপির নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি জবাবদিহিমূলক ও সেবামুখী রাজনীতি প্রতিষ্ঠাই আমার লক্ষ্য।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, মাঠ পর্যায়ে তার সক্রিয় উপস্থিতি ও জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাকে আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে।
মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিব জান মিয়া বলেন, “আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি—সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র, একজন জনবান্ধব নেতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। তিনি সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের আশ্রয়স্থল। তাকে সামনে রেখে শুধু গোপালগঞ্জ-১ নয়, পুরো গোপালগঞ্জকেই সুন্দরভাবে গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি সর্বদা সত পথে চলেন এবং চাঁদাবাজি, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। বিএনপি যদি তাকে মনোনয়ন দেয়, গোপালগঞ্জ-১ আসনে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে ব্যাপক বিজয় আসবে।”
এদিকে, মুকসুদপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দিগনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম লিটু মোল্লা বলেন, “সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ সৎ, চরিত্রবান এবং একজন কর্মীবান্ধব নেতা। তিনি কখনো চাঁদাবাজ, জুলুমবাজ বা মামলাবাজদের প্রশ্রয় দেন না। মানবিক ও আদর্শবান এই নেতাকে আমরা আগামীতে গোপালগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি থেকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই।”