শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ফরিদপুরে শান্তি ও সম্প্রীতির সভা
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

শারদীয় দুর্গাপূজার পবিত্র উৎসবকে সামনে রেখে ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে হৃদ্য ও সমৃদ্ধ মতবিনিময় সভা। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যায় ফরিদপুরের কমলাপুরের ঐতিহ্যবাহী ময়েজ মঞ্জিলে এ সভার আয়োজন করা হয়।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ফরিদপুর-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মনোনয়নপ্রার্থী চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।


সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি, সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিনাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহরিয়ার হোসেন শিথিল, এছাড়াও জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।


বক্তারা ফরিদপুরকে আদর্শ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর হিসেবে তুলে ধরে বলেন, এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে জীবনযাপন করে আসছে।


তারা আরও বলেন, “বিএনপি একটি অসাম্প্রদায়িক দল। দেশের উন্নয়ন ও শান্তি তখনই সম্ভব, যখন সকল ধর্ম ও সম্প্রদায় একে অপরের অধিকার ও মর্যাদাকে সম্মান করবে।”


সভায় বিশেষভাবে স্মরণ করা হয় ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের অবদান। বক্তারা বলেন, “কামাল ইউসুফ ছিলেন একাধারে নেতা, মানুষ এবং অভিভাবক। তাঁর দরবার সবসময় সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল। তিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে বিশ্বাস করতেন। তাঁর নেতৃত্ব, সততা ও মানবিকতা তাঁকে সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রিয় করে তুলেছিল।”


বক্তারা আরও বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কামাল ইউসুফের কন্যা চৌধুরী নায়াব ইউসুফকে বিপুল ভোটে জয়ী করতে সনাতন সম্প্রদায়সহ সকল ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি আগামী দিনে দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।”


সভাপতির বক্তব্যে ধর্মীয় সম্প্রীতির গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করা হয়। বক্তারা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে এবং প্রত্যেকে যেন শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ থাকে।


অনুষ্ঠানের শেষাংশে উপস্থিত সবাই সমাজে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।