
ইতিহাসের মোড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প সবসময়ই বিতর্কিত চরিত্র। ২০২০ সালে তার ঘোষিত ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ চুক্তি নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল, এটি ফিলিস্তিনকে দুর্বল করে ইসরায়েলকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা। কিন্তু পাঁচ বছর পর, নিউইয়র্কে আট মুসলিম দেশের নেতাদের সামনে বললেন ভিন্ন কথা । টাইমস অব ইসরায়েল ও পলিটিকোর খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, পশ্চিম তীর দখল করতে দখলদার ইসরায়েলকে তিনি অনুমতি দেবেন না।
২০২০–এর পরিকল্পনাটি তখন থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া, প্যালেস্টাইনকে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত করা, এবং পিএলও র ওয়াশিংটন অফিস বন্ধ করে দেওয়া, এগুলো কূটনৈতিক সম্পর্ককে বদলে দিয়েছিল। ফল স্বরূপ আরব দেশগুলো প্রতিক্রিয়া জানায়, এবং ফিলিস্তিনিরাও এর কঠোর সমালোচনা করে , ঐ চুক্তি প্রত্যাখান করে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর ট্রাম্প তার উত্থাপিত পরিকল্পনায় কি থাকবে তা নিয়ে আলোচনা করেন নেতাদের সাথে: তিনি বলেন- কিছু সপ্তাহের জন্য পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি, অবশিষ্ট প্রায় ৪৮ জন জিম্মির মুক্তি, এবং হামাসবিহীন একটি নতুন প্রশাসনিক রুপরেখা স্থাপন—যা সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের প্রস্তাবনার উপর ভিত্তি করে সাজানো হয়েছে।
বৈঠকে মুসলিম নেতারা ট্রাম্পের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে একটি যৌথ যুক্তিপত্র উপস্থাপন করেন।
যাতে উল্লেখ্য ছিল,- গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে তারা একযোগে জোরালো দাবি জানিয়েছে।
একই সঙ্গে তারা ইসরায়েলের সামরিক অভিযান, বাস্তুচ্যুতি ও জেরুজালেমের পবিত্র স্থানে অবৈধ হস্তক্ষেপের নিন্দাও জানিয়।
প্রশ্নটা এখানেই, যে ট্রাম্পের ২০২০ সালের ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ ফিলিস্তিনকে দুর্বল করার পরিকল্পনা হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল, তারই ২০২৫ সালের প্রতিশ্রুতি কতটা বিশ্বাসযোগ্য? এটা কি কেবলই ভোটের আগে দেয়া প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে,কূটনৈতিক চাপ সামলানোর কৌশল,? নাকি সত্যিই তিনি নীতি পরিবর্তনের দিকে এগোচ্ছেন?