
"গাজায় যুদ্ধ নয় বরং চলছে গণহত্যা" জাতিসংঘের মঞ্চে এই দৃপ্ত বার্তাই দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
সোমবার, নিউইয়র্কে ‘ফিলিস্তিন প্রশ্নের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও দুই-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়ন’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভাষণ দেন। এ সময়, তিনি গাজায় দুর্ভিক্ষ ও সংকটের একটি ছবি প্রদর্শন করে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘গাজমানবিক সহায়তা দ্রুত পৌঁছে দিন, আর নীরব থাকবেন না।‘
তিনি বলেন , গাজায় চলমান সহিংসতায় ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। তিনি বলেন, “যার সামান্য বিবেকও আছে, সে কখনোই এই হত্যাযজ্ঞকে চুপচাপ মেনে নিতে পারবে না।”
তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় যা চলছে, তা কোনো যুদ্ধ নয়। এটি একতরফা আগ্রাসন, গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ। প্রতি ঘণ্টায় একজন শিশু মারা যাচ্ছে। হাসপাতালগুলো এমন পরিস্থিতির মধ্যে যে, ছোট শিশুদের অজ্ঞান না করেই অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে। তার মতে, এটি মানবতার চরম অপমান।
তিনি বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিন এবং নীরবতা ভাঙুন। ফ্রান্সসহ কিছু দেশ ইতিমধ্যেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে তাদের ধন্যবাদ জানাই।‘ এমনকি এই পদক্ষেপগুলো দুই-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে নতুন গতি আনবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এরদোয়ান আরও জানান, ইসরায়েলের আগ্রাসন শুধুমাত্র গাজায় সীমাবদ্ধ নয়। পশ্চিম তীর, সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরান, লেবানন এবং কাতারেও এর প্রভাব পড়েছে। পুরো অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এটি মারাত্মক হুমকি বলে মন্তব্য করেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'এখনই গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা প্রয়োজন। মানবিক সহায়তা বাধাহীনভাবে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। ইসরায়েলকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।' “ইসরায়েলের হামলা মানবাধিকারের মৌলিক অধিকার ধ্বংস করছে,” বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।