কুবিতে চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।




রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর পৌনে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।




এসময় শিক্ষার্থীরা 'তুমি কে, আমি কে, চবিয়ান চবিয়ান', 'চবিতে হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে', 'আমার ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব দে', 'পারলে আমাদের নিরাপত্তা দে নইলে গদি ছাইড়া দে', 'দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেবো রক্ত' ইত্যাদি স্লোগান দেয়।




বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফার্মেসি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম ভুইঁয়া বলেন, 'যারা হামলা চালায় তারা কখনোই গ্রামবাসী হতে পারে না তারা সন্ত্রাসী। প্রশ্ন হচ্ছে, এত সেনাবাহিনী ও পুলিশ থাকা সত্ত্বেও এই সন্ত্রাসীরা কিভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে? জলপাই রঙের পোশাকধারীরা টহল দিলেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। আমরা এই ব্যর্থ প্রশাসনকে ধিক্কার জানাই, যারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারে না। পরশুদিন আমাদের সহযোদ্ধা নূর ভাইয়ের উপর হামলায়ও এই প্রশাসন জড়িত ছিল। আজও তারা আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।'





পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরাফ ভুঁইয়া বলেন, 'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর গতকাল নির্মম হামলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা গভীর রাত পর্যন্ত বাইরে অবস্থান করেছে তারপরও তারা বারবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। আমরা দেখেছি, চবির প্রক্টর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আহাজারি করছে, তিনি কারো সহযোগিতা পাননি।'




তিনি আরও বলেন, 'আমাদের সহযোদ্ধা নূর ভাইয়ের উপর রাষ্ট্রযন্ত্রের সহযোগিতায় হামলা চালানো হয়েছিল। যেখানে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও জাতীয় পার্টি একসাথে মিলেমিশে অংশ নেয়। এমনকি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতেই নূরু ভাইকে টার্গেট করা হয়েছে। এজিএম কাদের গ্যাংকে আমরা ভারতীয় আধিপত্যবাদের লিটমাস টেস্ট হিসেবে দেখি। বর্তমান সরকার ছাত্রদের জুলাইয়ের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের দায়িত্ব ফেসবুকে নিন্দা জানানো নয়, বরং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যদি তারা তা করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের গদি ছেড়ে দেয়াই উচিত।'





কুবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আবুল বাশার বলেন, 'ক্যাম্পাসে হামলার জন্য অন্যতম দায়ী ইন্টেরিম । ইন্টেরিম শুরু থেকেই ছাত্র জনতার বিপ্লবকে ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দিয়ে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। তুচ্ছ ঘটনা দিয়ে মব কায়েম করে ছাত্র জনতাকে দমনের চেষ্টা করছে। ছাত্র নেতাদের টার্গেট করে বার বার হামলা করা হচ্ছে।'




তিনি আরও বলেন, 'যদি আজ সন্ধ্যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা বন্ধ না হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দিব। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ব্লক করে কঠোর প্রতিবাদ করতে বাধ্য হব।'




উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩০ আগস্ট) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মেসে দারোয়ান কর্তৃক এক নারী শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।