ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ ওসমান হাদীর উক্তি ও বক্তব্যে'র ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন (ইছাআ)। রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তারা এ আয়োজন করে।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন শাখা শিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈবিছাআ) সাবেক সহ-সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মন্ডল, ইছাআ'র শাখা সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়ামাতুল্লাহ ফারিজ, প্রচার সম্পাদক হাবিব আল মিসবাহ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মিনহাজুর রহমান, পাঠাগার সম্পাদক সুমন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক রেজাউলসহ অন্য নেতাকর্মীরা।
এসময় ওসমান হাদীর বিভিন্ন টকশো ও প্রোগ্রামের আলোচনা এবং বক্তব্য, জুলাই আন্দোলনের স্লোগান ও বক্তব্য, নির্বাচনি প্রচারণার বিভিন্ন ক্লিপ, গুলিবিদ্ধতার ক্লিপসহ জানাজার ভিডিও দিয়ে বানানো ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
সংগঠনটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, আজ আমরা শহিদ শরীফ ওসমান হাদির সেরা উক্তি, টকশো এবং তার বক্তব্যগুলো ডকুমেন্টারি আকারে প্রদর্শন করার ব্যবস্থা করেছি। যেই হাদি বাংলাদেশকে চেইঞ্জ করতে চেয়েছিলেন, কালচারাল ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়ে গিয়েছিলেন, সেই হাদি যেন হারিয়ে না যায়, সে যেন আমাদের মধ্যে জীবিত থাকে সেটাই আমরা আজ উপস্থাপন করতে চেয়েছি। জুলাই এবং দেশ মাতৃকার জন্য যিনি লড়ে গিয়েছেন সেই হাদিকে যেন আমরা সর্বত্র অনুসরণ করি সেটা জানান দিতেই আমাদের এ আয়োজন। এছাড়া, আবরার ফাহাদের নামে হল ও ওসমান হাদীর নামে অ্যাকাডেমিক ভবনের নামকরণ এবং জুলাই বিপ্লবের বিরোধিতাকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের দ্রুত সময়ের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
বৈবিছআ'র সাবেক সহ-সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মন্ডল বলেন, ভাইকে যতবার দেখেছি ততবারই অনুপ্রাণিত হয়েছি তার কথাবার্তায়, তার চলাফেরায়, তার পুরো লাইফস্টাইলে। ভাইয়ের শহিদ হওয়া দেশের অদূর ভবিষ্যতের রাজনীতির একটা বড়ো ক্ষতি। ভাইয়ের যে দর্শন, চিন্তাভাবনা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, তার বক্তব্যগুলো আপামর জনগণের মাঝে যেই ইম্প্যাক্ট তৈরি করে গেছে, এইটা ভবিষ্যতে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে শক্তিরূপে আবির্ভূত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তিনি এ প্রজন্মের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। তিনি যে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ন্যায় এবং ইনসাফের লড়াই করতে চেয়েছিলেন তা যেন আমরা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেই দোয়া কাছে কামনা করছি।
শাখা শিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলী বলেন, ওসমান হাদি এক অনুপ্রেরণার নাম। জুলাই আন্দোলনের পর অধিকাংশ জুলাই যোদ্ধাদের নিয়েই বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু হাদি ভাই একমাত্র ব্যক্তি যিনি জুলাইকে কখনো বিক্রি করতে চাননি। তিনি জুলাইকে হৃদয়ে ধারণ করেছেন। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তার এক একটা বক্তব্য এক একটা বারুদ ছিল। তাঁর যে প্রত্যাশা, আশা, স্বপ্ন ছিল তা আমরা পূরণ করার চেষ্টা করব। তার স্বপ্ন ছিলো রাজপথে দাঁড়িয়ে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলতে যেন গুলির আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। তার এই প্রত্যাশা তাঁর ছিল। আল্লাহ তার শাহাদাতকে কবুল করেন।

