সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

ঢাকার নবাবগঞ্জে নিজের গ্রামের বাড়ি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রোববার (২২ জুন) মধ্যরাতে নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া সোমবার সকালে গণমাধ্যমকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সহিংসতায় উসকানি, হত্যা, দুর্নীতি এবং সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

গ্রেপ্তারের সময়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যায়, স্থানীয় নারী-পুরুষদের বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। সাবিনা তুহিন নিজেও সমর্থকদের শান্ত থাকতে অনুরোধ করেন এবং নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। এমনকি তিনি ফেসবুক লাইভে গিয়ে অভিযোগ করেন, পুলিশ তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর চালিয়েছে।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সম্প্রতি সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। অভিযোগ আছে, তিনি আত্মগোপনে থেকে নবাবগঞ্জে রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছিলেন।

এছাড়া, একই রাতে ডিবি পুলিশ সাবেক এমপি ফয়সল বিপ্লবকেও রাজধানীর মনিপুরী পাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এই দুজনই চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে নজরদারিতে ছিলেন।

ডিবি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে। তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হবে। অন্যদিকে গ্রেপ্তারকৃতদের আইনজীবীরা বলছেন, এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ।

এ ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, তুহিনের পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।