স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্যঃ কোন চা থেকে দূরে থাকা উচিত?

রাতভর বিশ্রামের পর পেট থাকে অ্যাসিডিক অবস্থায়। খালি পেটে দুধ চা পান করলে এতে থাকা ক্যাফেইন ও ট্যানিন অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে বুকজ্বালা, পেট ফুলে যাওয়া এবং অন্ত্রের আস্তরণে জ্বালা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন এমন অভ্যাস হজমশক্তি কমিয়ে দেয় এবং পুষ্টি শোষণ বাধাগ্রস্ত করে।

অনেকে চায়ের স্বাদ বাড়াতে চিনি যোগ করেন। কিন্তু বেশি চিনি অন্ত্রের প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট করে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা এবং হজমের সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘমেয়াদে এটি স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

ওজন কমানোর জন্য জনপ্রিয় ডিটক্স এবং স্লিমিং টি-এর মধ্যে থাকে রেচক, ক্যাফেইন ও ভেষজ যৌগ। অতিরিক্ত সেবনে পেট ব্যথা, ডায়রিয়া এবং ডিহাইড্রেশন হতে পারে। স্বল্পমেয়াদী রেচক প্রভাব অন্ত্র পরিষ্কারের ভুল ধারণা দেয়, তবে অতিরিক্ত ব্যবহার অন্ত্রের স্বাভাবিক ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করে।

গ্রিন টি উপকারী হলেও এক দিনে ৩–৪ কাপের বেশি পান করলে তা ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত গ্রিন টি পান করলে পেটের সমস্যা, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে থাকা ক্যাফেইন ও ট্যানিন অতিরিক্ত হলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

১৪০°F (৬০°C) বা তার বেশি তাপমাত্রার চা পান করলে খাদ্যনালী ও পাকস্থলীর কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বারবার গরম চা পান করলে প্রদাহ এবং জ্বালাপোড়া হয়, যা মুখ ও গলার মিউকোসা টিস্যুকে সংবেদনশীল করে। তাই গরমের বদলে আরামদায়ক উষ্ণ তাপমাত্রার চা পান করা উচিত।

চা পান স্বাস্থ্যকর হলেও কিছু ভুল অভ্যাসে পাচনতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে। খালি পেটে দুধ চা, অতিরিক্ত চিনি, ডিটক্স চা, অতিরিক্ত গ্রিন টি বা খুব গরম চা এই অভ্যাসগুলো থেকে বিরত থাকলে স্বাস্থ্য রক্ষা সম্ভব। সচেতন পানিই নিরাপদ।