
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত স্বর্ণা মিস্ত্রীর স্বামী আসুতোষ দাস ও তার পরিবারের সদস্যদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালী (কামারখালী) এলাকায় নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।
নিহত স্বর্ণা মিস্ত্রীর মা মনিকা রানী মিস্ত্রী অভিযোগ করে জানান, ২০২১ সালে পারিবারিকভাবে স্বর্ণার বিয়ে হয় ভান্ডারিয়া উপজেলার কুবেনেশ্বর এলাকার মতিলাল দাসের ছেলে আসুতোষ দাসের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই স্বর্ণার ওপর শুরু হয় যৌতুকের দাবিতে অমানবিক নির্যাতন।
মনিকা রানীর দাবি, তিনি ও তাঁর স্বামী ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করে মেয়ের সংসারে প্রায় ৮ লাখ টাকা এবং স্বর্ণালংকার যৌতুক হিসেবে দিয়েছেন। তবুও নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে আসুতোষ দাস ফোন করে বলেন, “আপনার মেয়ে এসে এখনই নিয়ে যান।” কথার মাঝেই মেয়ের চিৎকার শুনতে পান মনিকা রানী, এরপরই ফোনটি কেটে দেওয়া হয়। পরে ভান্ডারিয়া হাসপাতালে গিয়ে তিনি দেখেন, তাঁর মেয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
মনিকা রানীর অভিযোগ, এটি কোনো আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, স্বর্ণার মৃত্যুর পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির কেউ হাসপাতালে বা থানায় উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি নিহত স্বর্ণার তিন বছরের শিশু পুত্রকেও তারা লুকিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন।
স্বর্ণা মিস্ত্রীর পরিবারের দাবি, এ হত্যার সঙ্গে জড়িত স্বামী আসুতোষ দাস ও তার পরিবারের সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।