প্লাস্টিক শিল্প সংকটে, নীতি সহায়তা চায় উদ্যোক্তারা
ছবিঃ সংগৃহীত

গত ১৮ মাসে প্লাস্টিক খাতের ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা বন্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস–সংকট, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদের হারসহ একাধিক সমস্যায় ভুগছে খাতটি। এমন প্রেক্ষাপটে প্লাস্টিক শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে এবং নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে গৃহস্থালি পণ্যের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিকপণ্য উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতি।

আজ বুধবার রাজধানীর পল্টনে সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাজেট পর্যালোচনা উপস্থাপন করে এই দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি শামীম আহমেদ। তিনি বলেন, আগে গৃহস্থালি প্লাস্টিক পণ্যে ভ্যাট ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ, কিন্তু চলতি বাজেটে তা দ্বিগুণ করে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে উৎপাদক ও ক্রেতা—দুই পক্ষই চাপে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, প্লাস্টিক খেলনাশিল্পের ওপর বর্তমানে মোট কর ও শুল্ক মিলিয়ে ৮৭ শতাংশের বেশি আদায় করা হচ্ছে, যা এই নবীন খাতের বিকাশে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই এ হারও কমানোর দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের সহসভাপতি এনামুল হক বলেন, ‘গাজীপুরে আমাদের কারখানায় প্রতিদিন ৮–১০ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। অথচ একটি মেশিন চালু করতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। এর ফলে উৎপাদন ব্যয় যেমন বেড়েছে, তেমনি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সুবিধার অভাবে উৎপাদন কার্যক্রমও বিঘ্নিত হচ্ছে।’

সংগঠনের নেতারা মনে করছেন, এসব সমস্যার সমাধান না হলে দেশের প্লাস্টিক শিল্প বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে এবং হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বে।