 
      ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
          কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) চলমান আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মার্কেটিং ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের খেলোয়াড়দের মধ্যে মারামারি ঘটেছে। এই ঘটনায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা মার্কেটিং বিভাগের উপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বরাবর প্রেরিত একটি চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৩ অক্টোবর কোয়ার্টার ফাইনালে দ্বিতীয়ার্ধের ১৩ মিনিটে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী শাফায়েত দর্শকসারি থেকে এসে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের গোলকিপার হাসমত আলীকে পেছন থেকে আঘাত করতে থাকেন। পরবর্তীতে দলের অধিনায়ক মুজিবও এতে যুক্ত হন।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের খেলোয়াড় বরকত থামানোর চেষ্টা করলে, মার্কেটিং বিভাগের আরও কয়েকজন খেলোয়াড়, শাফিন, ইসনাত, হৃদয়, মাহবুব, সাব্বির এবং সৌরভ  তার উপর হামলা চালান। মারধরের ফলে বরকত গুরুতর আহত হন এবং উপস্থিত দর্শকরা তাকে উদ্ধার করেন। আহত হাসমত ও বরকতকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে মেডিক্যাল সেন্টারে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
চিঠিতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের পক্ষ থেকে দাবিসমূহের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে মার্কেটিং বিভাগের দলকে পাঁচ বছরের জন্য বহিষ্কার করা এবং হামলায় যুক্ত খেলোয়াড়দের বহিষ্কার করা।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দলীয় অধিনায়ক শাহীনুল ইসলাম গালিব বলেন, “খেলা শুরু হওয়ার পূর্বে ক্রীড়া কমিটি জানিয়েছিল যে, কোনো দল খেলায় বিশৃঙ্খলা করলে বহিষ্কার করা হবে। সেজন্য আমার দলের খেলোয়াড়রা নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, “আমরা চিঠিটি পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে। প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে, ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে এবং শৃঙ্খলা বোর্ডের মিটিংয়ে আলোচনা করা হবে। যদি প্রশাসন মনে করে, বহিষ্কার কার্যকর হবে।”
 সানজানা তালুকদার
                     সানজানা তালুকদার 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                
