ধর্ষণ-হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মায়ের হত্যার প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা।



সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিল জেলা আদালত প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।



শিক্ষার্থীদের দাবি ও স্লোগানঃ

“আমার বোন কবরে, খুনি কেনো বাহিরে”,“ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই”,“হত্যাকারীর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে”,“আমার বোনের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না''।


স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশে গড়িমসি করা হচ্ছে। এতে দ্রুত রিপোর্ট প্রকাশ, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা রুজু এবং হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি (মৃত্যুদণ্ড) দাবি করা হয়। শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে কুমিল্লা শহর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।



সুমাইয়ার সহপাঠী মুনিয়া আফরোজ বলেন, “আমাদের বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের গাফিলতি আছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে যদি দায়ীদের শাস্তির নিশ্চয়তা না দেওয়া হয়, তবে আমরা রাজপথ ছাড়ব না।”


পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন,“আমরা তদন্ত করছি। প্রধান আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।”


জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার বলেন,“রাষ্ট্রের কাজ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখব।”



গত ৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা শহরের কালোয়াজুরী এলাকার ভাড়া বাসায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগম। এ ঘটনায় কবিরাজ মোবারক হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং আদালতে জানান, তিনি সুমাইয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন।