
ছবিঃ বিপ্লবী বার্তা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে সার্বিকভাবে আসনসংখ্যা কমানো, নতুন বিভাগ সংযোজন এবং একাধিক ইন্সটিটিউট চালুর গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসনসংখ্যা কমানোঃ
আলোচনায় সুপারিশ করা হয়, ল্যাব বেইজড বিভাগে সর্বোচ্চ ৪০ জন এবং ল্যাববিহীন বিভাগে সর্বোচ্চ ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা যায়।
নতুন ১৮ বিভাগ যুক্তির প্রস্তাবঃ
আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রামে নতুন ১৮টি বিভাগ যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবিত বিভাগগুলো হলোঃ
বিজ্ঞান অনুষদ: পরিবেশ বিজ্ঞান, জৈব রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞান, জৈবপ্রযুক্তি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং,সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ: সমাজবিজ্ঞান, জনসংখ্যা বিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক,কলা ও মানবিক অনুষদঃ ইসলামিক স্টাডিজ ও সংস্কৃতি, ইতিহাস, দর্শন,ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদঃ পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায়িক তথ্যবিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক ব্যবসা, লজিস্টিক ও মার্চেন্ডাইজিং,প্রকৌশল অনুষদঃ বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল, রাসায়নিক প্রকৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল,আইন অনুষদঃ অপরাধবিদ্যা বিভাগ ।
নতুন ৪টি ইন্সটিটিউট গঠনের প্রস্তাবঃ
আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট,শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত গবেষণা কেন্দ্র,অ্যাকাডেমিক মান বৃদ্ধি কেন্দ্র। প্রতিটি ইন্সটিটিউটে পরিচালক, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপকসহ প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আলোচনায় আরও ১২টি বিভাগে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর সুপারিশ করা হয়। প্রতিটি বিভাগে ন্যূনতম ২৬ জন শিক্ষক রাখার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আলোচনায় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন,“আমরা মিটিংয়ে আলোচনায় এসব সুপারিশ করেছি। এখন কমিশনের অনুমোদন পেলে এগুলো অর্গানোগ্রামে যুক্ত হবে। অন্যদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন,“অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেজ্যুলেশন পাশ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।”