
দেশের বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের ধুম চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে, আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।
ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলঃ
৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম। যিনি ১৪ হাজার ৪২ ভোট পান। ডাকসুর ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে এবং ১৩টি সদস্য পদের মধ্যে ১১টিতে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। নারীদের হলগুলোতে প্রার্থীদের আচরণ, সহযোগিতার মনোভাব ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার বিষয়গুলো ভোটের সিদ্ধান্তে প্রাধান্য পেয়েছে।
জাকসু নির্বাচনের ফলাফলঃ
৮ ঘণ্টার ভোটগ্রহণে ১২ হাজার ভোটারের মধ্যে ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। ফলাফল প্রকাশ হতে সময় লেগেছে ৪৮ ঘণ্টা। সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেলের আবদুর রশিদ জিতু। আর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হয়েছেন শিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের মাজহারুল ইসলাম। ২৫টি পদের মধ্যে ২০টিতে জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত জোট।
চাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতিঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে আজ। চলবে আগামী মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। নতুন করে ১ হাজার ৭৬৮ শিক্ষার্থী ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। মোট ভোটার সংখ্যা এবার ২৭ হাজার ৬৩৪ জন। ভোটগ্রহণ হবে ১২ অক্টোবর।
রাকসু নির্বাচনঃ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। ছাত্রশিবির ইতিমধ্যেই প্যানেল ঘোষণা করেছে।
উল্লেখিত, ২০০৯ সালের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। তবে গত ৫ আগস্টের পর তারা কৌশল বদল করে প্রকাশ্যে এসে কার্যক্রম চালাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের দাপুটে জয় দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও প্রভাব ফেলতে পারে। এবং ডাকসু-জাকসুর ফলাফল রাকসু ও চাকসু নির্বাচনের সমীকরণেও প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের সক্রিয় ভূমিকার কথাও ভোটে প্রভাব ফেলেছে।