ফেলেই কাঁপলো ৩৫ ঊর্ধ্ব প্রার্থীরা: শিক্ষক নিবন্ধনের বাস্তবতা
ছবিঃ সংগৃহীত

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১,৯০০-এর বেশি। এর মধ্যে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪০০-এরও বেশি জন। ফলে, কেবল ৩৫ ঊর্ধ্বদের ব্যাপকভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে—এমন ধারণা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী।

রোববার দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি জানান, মৌখিক পরীক্ষার পাস-ফেল নির্ধারণে বাহ্যিক পরীক্ষকেরা (এক্সটার্নাল) প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। তারা প্রার্থীদের সামগ্রিক যোগ্যতা, উপস্থাপন দক্ষতা (প্রেজেন্টেশন) এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে নম্বর প্রদান করেছেন। ফলাফলে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।

১৮তম নিবন্ধনে যারা মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করেছেন, তাদের সনদ দেওয়া সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, “এটি একটি পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা ছিল এবং এর ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে। সাধারণত চাকরির পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তন হয় না। যদিও পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি ফলাফল একবার সংশোধন করেছিল, তবে সেটি ছিল প্রাথমিক ফল, চূড়ান্ত নয়। আমাদের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। এখন এনটিআরসিএর হাতে আর কিছুই করার নেই। বিষয়টি আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দিয়েছি।”

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১২ ও ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা। এতে পাস করেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ৮১ হাজার ২০৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ৬০ হাজার ৫২১ জন।