
মৌসুমের প্রথম ম্যাচে গোল করা যেন মোহাম্মদ সালাহর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। লিভারপুলে টানা ৯ মৌসুম খেললেও এর মধ্যে ৮ বারই প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে গোল পেয়েছেন এই মিসরীয় তারকা।
কেবল ২০২৩–২৪ মৌসুমে চেলসির বিপক্ষে তিনি গোলবঞ্চিত হন। তবে সেদিনও ভিএআরের সিদ্ধান্তে বাতিল হয়েছিল তাঁর একটি গোল। গত রাতের ম্যাচেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মনে হচ্ছিল, হয়তো আবারো সেই একই পরিণতি বরণ করতে হবে সালাহকে। কিন্তু যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে তাঁর পা থেকে আসে চমৎকার এক গোল। সেই গোলেই বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৪–২ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে লিভারপুল। একই সঙ্গে প্রথম ম্যাচে গোল করার অনন্য ধারাবাহিকতাও আরও দৃঢ় করলেন সালাহ।
এই গোলের সুবাদে প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী দিনে সালাহর গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১০-এ। গত মৌসুমেই তিনি এককভাবে তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছিলেন ৯ গোল নিয়ে। সে সময় তিনি ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন জেমি ভার্ডি, অ্যালান শিয়ারার, ওয়েইন রুনি ও ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডকে। এবার নিজেকেই ছাড়িয়ে আরও নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেলেন।
শুধু গোল নয়, প্রথম ম্যাচে গোলে সরাসরি অবদান রাখার ক্ষেত্রেও তিনি এখন সবার সেরা। এ পর্যন্ত ১৫ গোলে (১০ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট) সম্পৃক্ত সালাহ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রুনির অবদান ১৩ (৮ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট)।
এর পাশাপাশি আরও কিছু মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সালাহ। অ্যানফিল্ডে এটি ছিল তাঁর ১০৬তম প্রিমিয়ার লিগ গোল। সমান সংখ্যক গোল আছে আগুয়েরোর ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। একক ভেন্যুতে এর চেয়ে বেশি গোল করেছেন কেবল থিয়েরি অঁরি—হাইবুরিতে ১১৪ গোল।
এছাড়া, প্রিমিয়ার লিগে গোল অবদানের ক্ষেত্রে সালাহ এবার রায়ান গিগসকে ছুঁয়েছেন। লিভারপুলের হয়ে তাঁর মোট অবদান এখন ২৭১ (১৮৫ গোল ও ৮৬ অ্যাসিস্ট)। গিগসও সমান অবদান রেখেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে। এই তালিকায় এগিয়ে আছেন কেবল ওয়েইন রুনি, যিনি ইউনাইটেডের হয়ে জড়িত ছিলেন ২৭৬ গোলে। তবে বর্তমান ছন্দে চলতে থাকলে রুনিকেও শিগগিরই ছাড়িয়ে যেতে পারেন সালাহ।
গোলদাতাদের সর্বকালের তালিকায়ও তিনি চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছেন। ১৮৭ গোল নিয়ে তিনি এখন সমান আছেন অ্যান্ডি কোলের সঙ্গে। এর ওপরে আছেন শুধু ওয়েইন রুনি (২০৮), হ্যারি কেইন (২১৩) ও সর্বকালের শীর্ষ স্কোরার অ্যালান শিয়ারার (২৬০)।
এস কে আর