জামালপুরে বিএনপির মিছিলে যানজট, ছাত্রদল নেতা বরখাস্ত
ছবিঃ সংগৃহীত

গণ–অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জামালপুর সদর উপজেলায় বিএনপির আয়োজিত বিজয় মিছিল ও সমাবেশের কারণে সৃষ্ট যানজট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ছাত্রদলের এক নেতা।

এর জেরে তাঁকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে—অভিযোগ, তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।

ওই নেতার নাম অমিত হাসান ওরফে রবিন। তিনি শরিফপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে ছাত্রদল জামালপুর সদর উপজেলা পূর্ব শাখার আহ্বায়ক সাব্বির আহম্মেদ ও সদস্যসচিব আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণা আসে।

এর আগে বিকেলে বিএনপির মিছিল ও সমাবেশের কারণে সদর উপজেলার নান্দিনা বাজার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শত শত যানবাহন আটকে পড়ে, এমনকি একটি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও ভোগান্তিতে পড়ে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এই পরিস্থিতির একটি ছবি পোস্ট করে অমিত তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, “সমাবেশ নাকি সাধারণ জনগণের ভোগান্তি”—এ স্ট্যাটাসই কাল হয় তাঁর জন্য।

অমিত হাসান প্রথম আলোকে জানান, তিনি কোনো দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেননি, বরং মানবিক বিবেচনায় ভোগান্তির কথা তুলে ধরেছিলেন। তাঁর ভাষায়, “ওই যানজট প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী ছিল। অ্যাম্বুলেন্সসহ সাধারণ মানুষ দারুণ কষ্ট পেয়েছে। আমি ছবিসহ একটি সাধারণ পোস্ট করেছিলাম। কোনো শোকজ ছাড়াই সরাসরি অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অবিচার।”

তিনি আরও বলেন, “এই দলের জন্য অনেক কিছু সহ্য করেছি। হামলা-মামলার শিকার হয়েছি, জেল খেটেছি। এখনো আমার নামে তিনটি মামলা চলছে। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আন্দোলনের মাঠে ছিলাম। অথচ আজ সেই দল থেকেই অব্যাহতি পেলাম—এটাই সবচেয়ে বড় কষ্ট।”

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আতিকুর রহমান এই বিষয়ে বলেন, “কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়া সাংগঠনিক শৃঙ্খলার স্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা সন্দেহ করছি, তিনি আদৌ আমাদের লোক কি না। তাই তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”